লাল-হলুদ তাঁবুতে পা রাখার আগেই স্বস্তি ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের। বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের পরে এ বার সরে দাঁড়ালেন ইস্টবেঙ্গল সহকারী কোচ দেবজিৎ ঘোষও।
ক্লাব সূত্রের খবর, ট্রেভর এমনিতেই চাইছিলেন তাঁর কোচিং স্টাফ বদলাতে। সেই ইচ্ছা প্রকাশও করেছিলেন চুক্তির সময়। সেটা ক্লাবে চাউরও হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। ফুটবলাররা অনেকে তা জানেনও। আর তাই শনিবার বিকেলে দেবজিতের পদত্যাগ নিঃসন্দেহে কমিয়ে দেবে ইস্টবেঙ্গলের ব্রিটিশ কোচের চিন্তা।
কিন্তু হঠাৎ এই পদত্যাগ কেন?
দেবজিৎ বললেন, ‘‘যে দিন বিশুদা পদত্যাগ করেছিল, সে দিনই ছেড়ে দিতাম। কেননা এই ব্যর্থতার দায় তো একা কোচের নয়। সবার।’’ তা হলে সে দিনই সিদ্ধান্ত নিলেন না কেন? ভবানীপুরের কোচিং করানোর পথে পা বাড়িয়ে থাকা দেবজিৎ বললেন, ‘‘করিনি ক্লাব কর্তাদের অনুরোধে। সবাই ছেড়ে চলে গেলে ৩০ পয়েন্টেও পৌঁছতে পারবে না দল এই ভেবে। কিন্তু যখন দেখলাম আর সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব না, তখন পাকাপাকি ভাবে ছেড়ে দিলাম।’’
কোচ থাকার সময় নানা বিষয় নিয়ে বিশ্বজিতের সঙ্গে মতপার্থক্য চরমে উঠেছিল দেবজিতের। সেই সমস্যা বারবার আছড়ে পড়েছে কর্তাদের ঘরেও। সমস্যা হবে তাই টিমের সঙ্গে বাইরের অনেক ম্যাচে দেবজিতকে নিয়ে যেতে আপত্তি ছিল বিশ্বজিতেরও। কর্তারা পাঠানওনি। তা সত্ত্বেও দেবজিতের পদত্যাগ নিয়ে এ দিন কথা বলতে চাননি বিশ্বজিৎ। শুধু বললেন, ‘‘এটা দেবজিতের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আমার কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’’ ক্লাব থেকে অবশ্য তাঁকে আবার অনুরোধ করা হয়েছে। যাতে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত থেকে যান দেবজিৎ। ক্লাবের অন্যতম শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলছিলেন, ‘‘আমাদের আই লিগে আর একটা ম্যাচ বাকি। ওটা শেষ করেই দেবজিৎকে ছাড়তে বলেছি।’’ কিন্তু এ বার যে তিনি অনড়! দেবজিৎ সাফ বলে দিলেন, ‘‘ক্লাব বলেছে। তবে শেষ ম্যাচে আমি থাকব না।’’ ইস্টবেঙ্গলে কোচিং করানোর সময় ভবানীপুর টিমের দেখাশোনাও করতেন দেবজিৎ। সম্ভবত আবার সেখানেই কোচ হতে চলেছেন তিনি।
বিশ্বজিৎ ও দেবজিৎ সরে দাঁড়ালেন। এ বার বাকি স্যামি ওমোলো ও সঞ্জয় মাঝি। ট্রেভর মর্গ্যান আসার আগে লাল-হলুদে তাঁদেরও ভবিষ্যৎ ঠিক হয়ে যাবে কি না সেটাই দেখার। মর্গ্যান শহরে আসছেন সোমবার রাতেই।