শেষ বলটা খেলতেই পারিনি, মেনে নিলেন ধোনি

সামনেই ছিল রেকর্ডের হাতছানি। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রান তাড়া করে জয়ের নজির। ফ্লোরিডার মাটিতে সেই আপাত অসম্ভব কাজটা করেও ফেলেছিলেন ধোনি-রাহুলের জুটি। কিন্তু, মাত্র এক বলের ‘ভুলে’ই বদলানো গেল না রেকর্ডের পাতা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লডারহিল শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৬ ০৩:১৮
Share:

পিটিআইয়ের তোলা ফাইল চিত্র।

সামনেই ছিল রেকর্ডের হাতছানি। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রান তাড়া করে জয়ের নজির। ফ্লোরিডার মাটিতে সেই আপাত অসম্ভব কাজটা করেও ফেলেছিলেন ধোনি-রাহুলের জুটি। কিন্তু, মাত্র এক বলের ‘ভুলে’ই বদলানো গেল না রেকর্ডের পাতা। শেষ বলে দু’রানের ঘাটতি না মেটাতে পেরে এখন বড়সড় প্রশ্নের মুখে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ফিনিশার ট্যাগ। তিনি নিজে অবশ্য সমালোচকদের মনের কথাটাই কেড়ে নিয়েছেন। ভুল করেছেন। এমনটাই স্বীকার করে নিলেন ধোনি। মার্কিন মুলুকে ক্যারিবীয় আক্রমণের মুখে পড়ে প্রথম ম্যাচে নিজের ভাবনার সঙ্গে যে কাজের মিল ছিল না তা মেনে নিলেন ক্যাপ্টেন কুল। তিনি বলেছেন, “গোটা ম্যাচটাই অবিশ্বাস্য ছিল। ব্যাটিং ইউনিটের কাছ থেকে আমরা এর বেশি আশা করতে পারি না। তবে শেষ বলে আমাদের ভাবনাটা ঠিকই ছিল। কিন্তু সেটা ঠিক মতো কাজে লাগাতে পারিনি।” ম্যাচের পর বলছিলেন ভারত অধিনায়ক।

Advertisement

বিরল দৃশ্যটাই বলে দিচ্ছিল ম্যাচের গোটা ছবিটা। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির হতাশ মুখটা। ক্রিকেট মাঠে যেটা সচরাচর দেখা যায় না। ‘ক্যাপ্টেন কুল’ শেষ বলে ক্যাচটা তুলে মাথাটা যে ভাবে নাড়তে নাড়তে ব্যাটটা মাটিতে আছড়ে ফেলতে যাচ্ছিলেন, তাতেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল কতটা হতাশ হয়েছেন। ‘মেন ইন ব্লু-র’ ডাগ আউটে মাথায় হাত। হওয়ার কথাও তো!

বিরাট দুটো ছক্কা যে মেজাজে হাঁকালেন ক্যাপ্টেন তার পর কে ভেবেছিল এই ম্যাচ ভারত এ ভাবে হারতে পারে। তাও এক রানে! আইপিএলে দীর্ঘদিন একসঙ্গে খেলেছেন। কিন্তু চেন্নাই সুপার কিংগসের প্রাক্তন সতীর্থ ডোয়েন ব্র্যাভোর শেষ বলটা সামলাতে পারলেন না তিনি। লোকেশ রাহুলের ঝোড়ো সেঞ্চুরির পরও। কোথায় ভুলটা হল? ওই শেষ বলের ব্যাপারটা ছাড়া ম্যাচে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে বড় অভিযোগ নেই রেকর্ড আন্তর্জাতিক ম্যাচে অধিনায়কত্ব করতে নামা ধোনির। ‘‘ব্যাটিং ইউনিট এর চেয়ে বেশি আর কী করবে। আমরা বেশির ভাগ জিনিসই ঠিকঠাক করেছি আজ। পার্টনারশিপের সময় আস্কিং রেট বারো রানের আশপাশে রেখেছি। রাহুল আজ পুরো ম্যাচটা জুড়েই আউটস্ট্যান্ডিং খেলেছে। অন্যরাও। না হলে প্রায় ২৫০ রান তাড়া করতে পারতাম না,’’ বলেন ধোনি।

Advertisement

আর ব্র্যাভো? ধোনির ক্যাচটা স্যামুয়েলসের হাতে জমা পড়তেই পাখির মতো দু’হাত ছড়িয়ে ওড়ার ভঙ্গি থেকে চ্যাম্পিয়ন ডান্সে সেলিব্রেশনে মাতা ধোনির প্রাক্তন সিএসকে সতীর্থ কী ভাবে পরিকল্পনাটা নিখুঁত ভাবে সারলেন? ‘‘জানতাম ধোনি ম্যাচটা বার করে নিতে পারে। আমি তাই দুটো বল টার্গেট করেছিলাম। ইয়র্কার আর স্লোয়ার। মিডউইকেটে যাতে বড় শট না মারতে পারে ধোনি সেটাও নিশ্চিত করেছিলাম। এর পর যখন শেষ বলটায় ওকে ক্রিজে আড়াআড়ি ভাবে সরে যেতে দেখলাম তখন স্লোয়ার দেওয়াটাই ঠিক মনে হয়েছিল। সেটাই কাজে লেগে গেল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন