হার আর জিতের মধ্যে গণ্ডিটা খুব সূক্ষ্ম। যে পরিস্থিতিতে আমরা চলতি আইপিএলে বহু বার পড়েছি। প্লে-অফ পর্ব শুরুর আগে নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন, প্রথম চার টিম চূড়ান্ত করতে প্রায় শেষ ম্যাচ পর্যন্ত তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে। এ রকম হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের জন্যই আইপিএল এতটা উত্তেজক। আর রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টস আর যা-ই করুক না কেন, আমরা কিন্তু লড়েছি।
হ্যাঁ, শেষ চারে থাকতে না পেরে আমরা হতাশ। পাঁচটা ম্যাচ শেষ ওভারে হেরেছি। অন্তত তিনটে ম্যাচ আমাদের জেতা উচিত ছিল। সংখ্যায় যা-ই দেখাক না কেন, আমরা এমন সব অবস্থায় ছিলাম যেখানে একটা ভাল ওভার সব বদলে দিতে পারত।
কেউ কেউ বলছে এ বার আমাদের একজন প্রভাবশালী অলরাউন্ডার দরকার ছিল। ভেবেছিলাম মিচেল মার্শ ওই স্লটটা ভর্তি করবে, কিন্তু ওর চোটটাও আমাদের চোটের তালিকায় টাটকা যোগ হয়েছে। যে কোনও টিম থেকে চার জন শ্রেষ্ঠ আন্তর্জাতিক প্লেয়ার তুলে নিলে টিমের চেহারাটা পাল্টে যাবেই। প্রতি মুহূর্তে আমাদের স্ট্র্যাটেজি পাল্টাতে হয়েছে। তার পরও যে আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে পেরেছি, সেটাই গর্ব।
অধিনায়ক হিসেবে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে এ বছর কতটা অন্য রকম দেখাচ্ছে, সেটা নিয়ে প্রচুর আলোচনা হচ্ছে। ঘটনা হল, এই পরিস্থিতিটা আমাদের সবার কাছেই বড় চ্যালেঞ্জ। এটা আমাদের প্রথম বছর, কয়েকটা চ্যালেঞ্জ টপকানো খুব কঠিন ছিল। কিছু পরিস্থিতি তো আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিলই না। পরের বার ভাল করার জন্য, আমাদের ফিটনেস আর স্কিল উন্নত করার জন্য প্রচুর খাটছি।
নতুন প্লেয়ার খেলানোর ভাবনাও রয়েছে। যারা বিশ্বমানের ক্রিকেটারের সঙ্গে খেলার সুযোগ পাবে। টিমের কিছু তরুণের মধ্যে ভবিষ্যতের তারা হয়ে ওঠার ক্ষমতা আছে। আমি ওদের বলব এই সুযোগটা কাজে লাগাতে।