মোহালিতে কর্তৃত্ব রেখে জিতেছে ভারত। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি আর বিরাট কোহালির সৌজন্যে শেষ দিকে ২৮৫ খুব সহজ লক্ষ্য মনে হচ্ছিল। কিন্তু ঘটনা হচ্ছে, কোনও মাঠেই এটা সহজ টার্গেট নয়। ৫০-২ অবস্থায় ভারত বেশ সমস্যায় পড়েছিল। রস টেলর যদি বিরাটের ক্যাচ নিয়ে নিত, তা হলে ভারতের কাজটা কঠিন হয়ে যেত। দিনের শেষে অবশ্য এ সব ‘যদি’, ‘কিন্তু’ অর্থহীন হয়ে যায়। যেটা আসল তা হল, বিরাট আর ধোনির দুটো অসাধারণ ইনিংস।
ধোনিকে চারে নামতে দেখে খুব খুশি হয়েছি। আমি তো কবে থেকে এটা নিয়ে বলে যাচ্ছিলাম। আশা করি ধোনি এ বার থেকে চারেই নামবে। বাউন্ডারি মারার দুর্দান্ত ক্ষমতা আছে ওর। যেটা করে বোলারদের উপর ও মারাত্মক চাপ তৈরি করতে পারে। ওকে দেখে মনে হয়, ব্যাটিং খুব সহজ একটা ব্যাপার। উল্টো দিকে বিরাটের মতো জাত ব্যাটসম্যান। ওদের দেখে মনে হয়নি ওরা চাপে আছে। সিরিজে ফিরতে গেলে দু’জনকে তাড়াতাড়ি আউট করতে হবে নিউজিল্যান্ডকে।
কোহালির ওয়ান ডে পারফরম্যান্স রুদ্ধশ্বাস হয়ে উঠছে। রান তাড়া করে ষাটের কম ম্যাচ খেলে চোদ্দোটা ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি, অসাধারণ কৃতিত্ব। উইকেটের দু’দিকেই মারতে পারে বলে বোলারদের থিতু হওয়ার সুযোগ দেয় না কোহালি। বোলারদের হাতে যদি কোনও উপায় থাকে তো সেটা হল ওকে অফস্টাম্পের বাইরে বল করা। সব সময় ওর জন্য ক্যাচিং পজিশন রেখে দেওয়াই কোহালিকে থামানোর একমাত্র রাস্তা।
সিরিজে যার উপর সে রকম নজর পড়েনি, তার নাম অমিত মিশ্র। রস টেলর আর লিউক রঙ্কিকে করা ওর দুটো ডেলিভারি যে কোনও লেগ স্পিনারের গর্ব।
দুটো ম্যাচ এখনও বাকি সিরিজে। দুটো টিমেরই অনেক কিছু পাওয়ার আছে। রাঁচিতেও শিশির থাকবে। প্রশ্ন হল, নিউজিল্যান্ড কি রান তাড়া করে অন্য ভাবে খেলতে পারবে? তবে তার জন্য ওদের টসটা জিততে হবে। শেষ দুটো ম্যাচে ভারতীয় দলে বদল না হলেও জিমি নিশামকে নিয়ে ভাল করেছে নিউজিল্যান্ড। তবে রাঁচিতে ওদের আরও এক জন স্পিনার চাই। গাপ্টিল, রঙ্কি বা কোরি অ্যান্ডারসন, কেউই ছন্দে নেই। সব মিলিয়ে বিপক্ষ ম্যানেজমেন্টের সামনে কঠিন সিদ্ধান্ত।