ছবি: সংগৃহীত।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনির পরবর্তী ভারতীয় উইকেটকিপার হিসেবে নির্বাচকরা এখনই যে সামনের দিকে তাকাচ্ছেন না, তা দিন কয়েক আগে জানিয়ে দিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচক এমএসকে প্রসাদ।
তাই এই মুহূর্তে জাতীয় দলের চিন্তা মাথা থেকে সরিয়ে দিয়েছেন দিল্লির অধিনায়ক ঋষভ পন্থও। শুক্রবার থেকেই রঞ্জি ট্রফির ফাইনাল শুরু হল ইনদওর-এ। যেখানে ব্যাটে বড় রান পাননি দিল্লির এই প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান। প্রথম দিনের শেষে ঋষভ বলেন, ‘‘আমি এই ব্যাপারে একদম ভাবতে চাই না। ব্যাটে পারফর্ম করাই এখন আমার লক্ষ্য।’’
ধ্রুব শোরে (১২৩) ও হিম্মত সিংহের (৬৬) ১০৫ রানের লড়াকু পার্টনারশিপের উপর নির্ভর করেই রঞ্জি ট্রফি ফাইনালের প্রথম দিনে ঘুরে দাঁড়াল দিল্লি। পেসার আদিত্য ঠাকরে ও রজনীশ গুরবাণীর দাপুটে বোলিংয়ের সাহায্যেই ৯৯ রানে প্রথম চার উইকেট হারায় গৌতম গম্ভীররা। সেখান থেকে প্রথম দিনের শেষে ছ’উইকেট হারিয়ে দিল্লির রান ২৭১। প্রথম দিনে দু’টি করে উইকেট নিলেন ঠাকরে ও গুরবানী।
ইনদওর-এর হোলকার স্টেডিয়ামে প্রথম ফাইনাল খেলতে নেমেই টস জিতেছিলেন বিদর্ভ অধিনায়ক ফৈয়জ ফজল। উইকেটে হাল্কা সবুজ আভা দেখে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। রঞ্জি ফাইনালের পঞ্চম বলেই কুণাল চান্দেলাকে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখান ঠাকরে।
ম্যাচের ১৩ নম্বর ওভারে ব্যক্তিগত ১৫ রানে অক্ষয় ওয়াখড়ের ২০০তম উইকেটের শিকার হলেন গৌতম গম্ভীর। ব্যক্তিগত ২১ রান করে একই পথে হাঁটেন নীতীশ রানা ও অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। ৩৮ ওভারে ৯৯-৪ থেকেই ম্যাচের গতিপ্রকৃতি বদলাতে শুরু করেন ধ্রুব ও হিম্মত। গুরবাণী ও ঠাকরের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন হিম্মত। অন্য দিক থেকে ধরে খেলতে থাকেন ধ্রুব।
চা বিরতির পরে গুরবাণীর একটি আউটসুইংয়ে বিভ্রান্ত হয়ে আউট হলেন হিম্মত। যদিও তাঁর আউটটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।