চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ভয়ের কারণ নেই। ছবি: রয়টার্স।
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন দিয়েগো মারাদোনা। পাকস্থলীতে রক্তক্ষরণের চিকিৎসার জন্য তাঁকে ভর্তি করতে হয়েছিল। শুক্রবারই রুটিন স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় কিংবদন্তি ফুটবলারের এই সমস্যা ধরা পড়ে। অবশ্য চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ভয়ের কারণ নেই। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে তিনি বলে যান, ‘‘ভালবাসা সব সময়ই অপরিবর্তিত থাকে। সবাই আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আপাতত চললাম দোরাদোয় (মেক্সিকোর দ্বিতীয় ডিভিশন ক্লাব দোরাদো দে সিনালোয়া) কোচিং করাতে।’’
দোরাদোয় বেশ কিছু দিন তিনি যাননি। ক্লাবের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সমস্যার কারণে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। এ দিকে, আর্জেন্টিনার একটি টিভি চ্যানেলে বলা হয়েছে, বান্ধবী রসিয়ো অলিভার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে ভাঙন ধরাতেই এই অবসাদ। মারাদোনার স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করায় টুইটারে তাঁর মেয়ে দালমা সবাইকে আশ্বস্ত করে লিখেছেন, ‘‘যাঁরা বাবার শরীর নিয়ে চিন্তায় আছেন, তাদের জানাই, উনি ভাল আছেন।’’
ফুটবল থেকে অবসরের পরে মারাদোনা শরীর নিয়ে নানা রকম সমস্যায় ভুগেছেন। কখনও দেহের ওজন নিয়ে। মাদক সেবন সংক্রান্ত সমস্যাও ছিল। তাঁকে নিয়মিত ডাক্তারি পরীক্ষাও করাতে হয়। এমনই এক পরীক্ষায় ধরা পড়ে তাঁর পাকস্থলীতে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। শোনা গিয়েছিল যে দ্রুত অস্ত্রোপচারও নাকি করতে হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তেমন কিছু হয়নি। হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে ছোট মেয়ে জিয়ান্নিনা ছিলেন। মেক্সিকোয় ফিরে যাওয়ার আগে মারাদোনা তাঁর নাতি দিয়েগো মাতিয়াসের ধর্মীয় দীক্ষাদানের অনুষ্ঠানেও সম্ভবত থাকবেন। এ দিকে অসুস্থতা থাকলেও কিংবদন্তি ফুটবলার মজা করে মন্তব্য করেছেন, ‘‘হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় আমার বয়স ছিল ৫৮। বেরোনোর পরে তা কমে হয়েছে ৫০!’’