ফের ডিকার গোলে জয়ী মোহনবাগান। ফাইল চিত্র
আই লিগে আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত ট্রফি ঢোকেনি সবুজ-মেরুন শিবিরে। সুপার কাপে তাই গোয়ার চার্চিল ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে প্রিয় দলের খেলা দেখতে রবিবার সকালে দল বেঁধে কলকাতা থেকে কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে এসেছিলেন হাজার খানেক মোহনবাগান সমর্থক।
খেলা শেষে তাঁদের মুখে হাসি ফুটিয়ে ম্যাচের নায়ক দিপান্দা ডিকা বলে গেলেন, ‘‘এত দূর থেকে আমাদের সমর্থকরা এসে দলের জন্য গলা ফাটাচ্ছেন। সেটাই প্রেরণা দিয়েছে। গোল করে মোহনবাগানকে সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন করাতেই কটকে এসেছি।’’
আই লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েও মোহনবাগানকে চ্যাম্পিয়ন করাতে পারেননি। সেই খেদ রয়েছে ডিকার। এক গোলে পিছিয়ে থাকা ম্যাচে তাঁর জোড়া গোলে জিতে ফেরার পরে রজার মিল্লার দেশের এই ফুটবলার ফাঁস করলেন তাঁর জ্বলে ওঠার রহস্য। বললেন, ‘‘চার্চিল ভাল দল। কিন্তু আমরা মোহনবাগান। ওদের উইলিস প্লাজা গোল করতেই তেতে গিয়েছিলাম। প্লাজা একটা গোল করল। আর আমি মাঠ ছাড়লাম দু’টো গোল করে। ওরা এক গোলে এগোলে, আমাকে তো দু’টো গোল করতেই হবে।’’
ম্যাচের আগেই চার্চিল ব্রাদার্স কোচ অ্যালফ্রেড ফার্নান্দেজ বলেছিলেন, তাঁর টিমের তুরুপের তাস উইলিস প্লাজা। আর মোহনবাগানের আসল লোক দিপান্দা ডিকা। ম্যাচেও সমানে সমান লড়াই হল ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগো ও ক্যামেরুনের এই দুই বিদেশির মধ্যে।
ম্যাচের ৩০ মিনিটে নিকোলাস ফার্নান্দেজ-এর কাছ থেকে বল পেয়ে চকিতে মোহনবাগান রক্ষণকে স্তম্ভিত করে গোল করে গিয়েছিলেন প্লাজা। টিভি ক্যামেরায় তখন ধরা পড়ল ডিকার মুখটা। রাগে গজগজ করছেন। তার পরেই ম্যাচের নায়ক হয়ে জ্বলে ওঠা তাঁর।
প্রথমার্ধের একদম অন্তিম লগ্নে পেনাল্টি থেকে যে গোলে ডিকা সমতা ফেরালেন তা চার্চিল ব্রাদার্স গোলকিপার রিকার্ডো কার্দোজোর হাতে লেগে ফিরে এসেছিল। সেই বলে পাল্টা শট মেরেই প্রথম গোল ডিকার। দ্বিতীয়ার্ধে ফ্রি-কিক থেকে চার্চিল বক্সে হেডে বল নামিয়ে দিয়েছিলেন আক্রম মোঘরাবি। সেই বল থেকেই ২-১ করেন ডিকা। আই লিগে বারাসতে চার্চিলের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করেছিলেন তিনি। এ দিনও ফের জোড়া গোল। ডিকা বলছেন, ‘‘আজকের ম্যাচটাই স্মরণীয় । আর তার মধ্যে দ্বিতীয় গোলটা সেরা।’’
মোহনবাগান: শিল্টন পাল, অরিজিৎ বাগুই, এজে কিংসলে, কিংশুক দেবনাথ, গুরজিন্দর কুমার, ক্যামেরন ওয়াটসন, শেখ ফৈয়াজ (বিখোখেই), ইউতা কিনোয়াকি, নিখিল কদম, আক্রম মোঘরাবি (রেনিয়ার ফার্নান্দেজ), দিপান্দা ডিকা (স্যামুয়েল)।