সিঙ্গাপুর রওনা হওয়ার আগে গোলের মধ্যে থাকা র্যান্টি মার্টিন্সকে নিয়ে আশ্বস্ত হলেও ডুডুকে নিয়ে অশ্বস্তি রয়ে গেল এলকো সতৌরির। মরসুম শুরুতে কলকাতা লিগে দুর্দান্ত ফর্মে থাকলেও, বর্তমানে গোল-খরা চলছে ডুডুর। নাইজিরিয়ান স্ট্রাইকারের ফর্ম নিয়ে এতটাই চিন্তিত ইস্টবেঙ্গলের ডাচ কোচ যে এ এফ সি কাপের সবথেকে দুর্বল দলের বিরুদ্ধে খেলতে যাওয়ার আগে অনুশীলনে আলাদা করে ডুডুর সঙ্গে অনেকক্ষণ তাঁর সমস্যা জানতে সময় ব্যয় করলেন সতৌরি। যুবভারতী ছাড়ার আগে ইস্টবেঙ্গল কোচ বলে দিলেন, “ডুডুকে বলেছি আত্মবিশ্বাস না হারাতে। গোল ঠিক আসবে। স্ট্রাইকাররা ‘কেচাপ’-এর মতো হয়। যতক্ষণ গোল পাচ্ছে না, ততক্ষণ বোতলে থাকে। গোল আসতে শুরু করলে উপচে পড়ে।” ডুডুর আত্মবিশ্বাস ফেরাতে এ দিন অনুশীলনে তাঁকে সম্ভাব্য প্রথম একাদশে রাখেন সতৌরি। ডুডুকে তিনি বোঝান কোথায় ভুল হচ্ছে। কী ভাবে আরও উন্নতি করা যাবে। ডুডুও বললেন, “আমি গোল করার চেষ্টা করব। আশা করছি তিন পয়েন্ট পাওয়ার এই ম্যাচটাই সেরা মঞ্চ।”
এএফসির প্রথম ম্যাচ হেরে ও পরের ম্যাচ ড্র করে ইস্টবেঙ্গল এখন গ্রুপে তিন নম্বরে। তার উপর টিমে নিয়মিত চার ফুটবলার আটকে জাতীয় গলে। কিন্তু সিঙ্গাপুরের যে দলের বিরুদ্ধে খেলতে যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল, সেই বালেস্তিয়ার খালসার অবস্থা তো আরও খারাপ। দুটো ম্যাচ হেরে লাস্ট বয়। যে কারণে এএফসিতে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে খালসার বিরুদ্ধে তিন পয়েন্ট পাখির চোখ করছেন সতৌরি। “আমাদের যদি টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হয় এই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট তুলে আনতে হবেই। খালসার ম্যাচের ভিডিও দেখেছি। ওরা খুব রক্ষণাত্মক দল। আমার দল পুরোপুরি প্রতিআক্রমণে খেলবে না। এই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট পাওয়া যেতেই পারে।”
সিঙ্গাপুর রওনা হওয়ার আগে এলকো যে অনুশীলন করিয়েছেন তাতে ডিফেন্সে থাকবেন সুসাক-রাজু জুটি। দুই সাইডব্যাকে রবার্ট ও দীপক। মাঝমাঠে মেহতাব, তুলুঙ্গা, রফিক ও সুখবিন্দর। ফরোয়ার্ডে সেই র্যা-ডু (র্যান্টি-ডুডু) জুটি। তবে ডুডু ছাড়াও ডিফেন্স নিয়ে চিন্তিত সতৌরি। “দীপক অসুস্থ ছিল। কিন্তু এখন ঠিক আছে। রবার্টের ফিটনেস ভাল অবস্থায় নেই,” বলেন সতৌরি। সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “আমার ডিফেন্স খুব ভাল খেলছে। কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু সাইডব্যাকদের উইং প্লে হচ্ছে না।”
সিঙ্গাপুরে শেষ বার ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ খেলেছিল দু’বছর আগে এএফসি কাপে। প্রতিপক্ষ ছিল তাম্পাইন রোভার্স। ইস্টবেঙ্গল সেই অ্যাওয়ে ম্যাচ ৪-২ জিতেছিল। এ বারও সেই একই পরিস্থিতি আশা করছেন দলের অন্যতম ভরসা মেহতাব হোসেন। “সিঙ্গাপুরে আগের বার জিতেছিলাম। এ বারও আশা করছি সে রকমই হবে।” মেহতাব জেতার কথা বললেও দলের অনেক ফুটবলারই ধন্ধে সিঙ্গাপুরের আবহাওয়া নিয়ে।