ডুডু ওমাগবেমি। ছবি: সংগৃহীত।
নেরোকা এফসি-র বিরুদ্ধে ড্রয়ের ধাক্কায় বিধ্বস্ত কাতসুমি ইউসা, এদুয়ার্দো ফেরিরা থেকে শুরু করে মহম্মদ আল আমনা, কেভিন লোবো-রা। ব্যতিক্রম একমাত্র ডুডু ওমাগবেমি। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই সুপার কাপের জন্য মানসিক প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন তিনি।
যুবভারতী ছাড়ার সময় ডুডু বলছিলেন, ‘‘পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে দিন সাতেকের জন্য ফিনল্যান্ড ফিরছি। ফিরে এসেই সুপার কাপ জয়ের জন্য ঝাঁপাব।’’
ইস্টবেঙ্গল কি আদৌ সুপার কাপ খেলবে? নেরোকা-র বিরুদ্ধে ড্রয়ের পরে এই প্রশ্নটাই উঠতে শুরু করে দিয়েছে। ক্লাবের অন্দরমহলে কেউ কেউ মনে করছেন, সুপার কাপে বেঙ্গালুরু এফসি, চেন্নাইয়িন এফসি-র মতো আইএসএলের দলগুলো রয়েছে। তাই ইস্টবেঙ্গেলের এই টুর্নামেন্টে না খেলাই উচিত। লাল-হলুদের এক শীর্ষ কর্তা অবশ্য জানালেন, কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁরা আলোচনায় বসছেন। সেই বৈঠকেই সুপার কাপে খেলা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
ডুডু অবশ্য শুধু সুপার কাপ নয়, পরের মরসুমের পরিকল্পনাও শুরু করে দিয়েছেন। নাইজিরীয় স্ট্রাইকার বলে দিলেন, ‘‘আমি ইস্টবেঙ্গলেই খেলতে চাই। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে ক্লাব কর্তাদের উপর। ওঁরা চাইলে আমি অন্য কোনও ক্লাবে খেলব না। চেষ্টা করব ইস্টবেঙ্গলকে আই লিগে চ্যাম্পিয়ন করতে।’’ কিন্তু সম্ভাবনা জাগিয়েও এ বারের আই লিগে চ্যাম্পিয়ন হতে না পারার কারণ কী? ডুডু-র ব্যাখ্যা, ‘‘লাজং এফসি-র বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে হারটাই আমাদের খেতাবের দৌড় থেকে ছিটকে দিয়েছে।’’ কাতসুমি ইউসার মতে, দু’টো ডার্বিতে হারই ইস্টবেঙ্গলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা শেষ করে দিয়েছে। হতাশ এদুয়ার্দো বললেন, ‘‘মোহনবাগান ছেড়ে ইস্টবেঙ্গলে সই করেছিলাম চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে। সুপার কাপ জিতলে হয়তো যন্ত্রণা কিছুটা কমবে।’’