ইউতা কিনওয়াকি শরীরিক ভাবে এখনও ম্যাচ খেলার মতো অবস্থায় নেই, মোহনবাগান কর্তাদের জানিয়ে দিলেন কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী। তবে জাপানি মিডিয়োকে সই করিয়ে রাখতে বলেছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার তাঁকে সই করানো হচ্ছে।
কাল বুধবার কাস্টমসের বিরুদ্ধে কলকাতা প্রিমিয়ার লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ রয়েছে দিপান্দা ডিকাদের। ওই ম্যাচ জিতলেই আট বছর পর কার্যত খেতাবের দরজা খুলে যাবে মোহনবাগানের সামনে। ওই ম্যাচে তাই কোনও পরিবর্তন চাইছেন না সবুজ-মেরুন কোচ। বলে দিলেন, ‘‘ইউতা এখনও খেলার মতো ফিট নয়। সই করিয়ে রাখতে বলেছি শেষ ম্যাচে মহমেডানের বিরুদ্ধে খেলানোর কথা মাথায় রেখে। ওই ম্যাচটা পাঁচ-ছয় দিন পরে আছে। যদি খেলার জায়গায় চলে আসে নামিয়ে দেব।’’
সদ্য শহরে আসা ইউতাকে মঙ্গলবার মাঠেও নামতে দেননি মোহনবাগান কোচ। মাঠের পাশে শুধু দৌড়েছেন তিনি। মাঠে নামার আগে অবশ্য গতবার আই লিগে ভাল খেলা মিডিয়োর সঙ্গে কথা বলেন শঙ্করলাল। তখন ইউতাও তাঁকে বলেন, সে ভাবে অনুশীলনে ছিলেন না। তবে তাড়াতাড়ি নিজেকে তৈরি
করে ফেলবেন।
ইউতাকে পেয়েও তাঁকে কাজে লাগাতে না পারায় অবশ্য শঙ্করলাল চিন্তিত নন। দল নিয়ে তিনি কোনও ঝুঁকিও নিতে চাইছেন না। নিয়মিত খেলা তিন বিদেশিকেই রাখছেন প্রথম একাদশে। ডার্বি ম্যাচের নায়ক পিন্টু মাহাতোকে বুধবার শুরু থেকেই খেলাবেন ঠিক করেছেন মোহনবাগান কোচ। গোলে খেলবেন শঙ্কর রায়ই। শঙ্করলাল এ দিন বলে দিলেন, ‘‘কাস্টমস এখনও লিগে অপরাজিত। ওরা ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গেও ড্র করেছে। ফলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। এর আগে আমরা বিভিন্ন সময় শেষ ম্যাচে এসে ব্যর্থ হয়েছি। তাই দল নিয়ে কোনওরকম পরীক্ষা নিরিক্ষা করার প্রশ্নই ওঠে না।’’
এ দিন অনুশীলনে উইং প্লে এবং কর্নার ও ফ্রিকিকের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। দিপান্দা এবং হেনরি কিসেক্কাকে সতর্ক করেছেন তাদের কোচ, দ্রুত গোল তুলে নেওয়ার কথা বলে। আট বছর পর ঘরোয়া লিগ কড়া নাড়ছে দরজায় অথচ মোহনবাগান ফুটবলাররা এখনও অগস্ট মাসের বেতন পাননি। সিনিয়র ফুটবলারদের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে জুনিয়রদের দিন চলছে। এর আগে বিদ্রোহ করে জুলাই মাসের মাইনে আদায় করেছিলেন শিল্টন পালরা। শোনা যাচ্ছে, কাস্টমসের বিরুদ্ধে জিতে লিগ নিশ্চিত করার পর ফের ফিরতে পারে বিদ্রোহের সেই ছবি। ১৮ সেপ্টেম্বর লিগ শেষ হওয়ার পর এক মাস কোনও টুর্নামেন্ট নেই। এক সপ্তাহের ছুটি দিয়ে আই লিগের প্রস্তুতি শুরু করার কথা ঘুরছে কোচের মাথায়। কিন্তু ছুটির আগে দিপান্দা ডিকাদের মাইনে দেবে কে কেউ জানে না। ক্লাবের অর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। স্পনসর নিয়ে কর্তাদের মধ্যে ঝামেলা চরমে। দলের সাফল্যের মাঝেও এই ঝামেলা বড় আকার ধারণ করতে পারে।