দিন-রাতের টেস্ট তো দূর অস্ত, গোলাপি বলে দলীপ ট্রফি আয়োজন করা যাবে কী না, তা নিয়েই এখন ধন্দে পড়েছে বিসিসিআই।
যে সময় দলীপ ট্রফি হওয়ার কথা, সেই অগস্টের শেষে এই টুর্নামেন্টে খেলার মতো ক্রিকেটারই পাচ্ছেন না নির্বাচকরা। ফলে নির্ধারিত সময়ে চার দলীয় এই টুর্নামেন্ট হওয়া বেশ কঠিন বলে মনে করছে বোর্ডের এক মহল। সেপ্টেম্বরে বিদেশে মিনি আইপিএল করার যে প্রস্তাব দিয়েছিল বোর্ড তা অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডের আপত্তিতে নাকচ করে দিয়েছে আইসিসি। এখন দলীপও অনিশ্চিত। ফলে দিন-রাতের টেস্টও অনিশ্চিত।
দেশের মাঠে দিন-রাতের টেস্টের আয়োজনের কথা ভেবেই এ বার দলীপ ট্রফিও গোলাপি বলে ও দিন-রাতে করার পরিকল্পনা ছিল বোর্ডের। কিন্তু দলীপই যদি না করা যায়, তা হলে দিন-রাতের টেস্ট করা নিয়েও সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে বোর্ড কর্তাদের ধারণা। কারণ, দলীপের সাফল্যের উপরই গোলাপি বলের টেস্টের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। আর যে বৈঠকে দিন-রাতের টেস্ট নিয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা, সেই বোর্ডের বার্ষিক সভা কবে হবে, তার ঠিক নেই।
কেন এই অবস্থা?
ওয়েস্ট ইন্ডিজে ভারতের চলতি টেস্ট সিরিজ শেষ হওয়ার কথা ২২ অগস্ট। টিম ২৫ অগস্টের আগে দেশে ফিরছে না। আবার সিনিয়রদের পরেই যে দ্বিতীয় সারির দল, সেই ভারত ‘এ’ আগামী দেড় মাস থাকবে অস্ট্রেলিয়া সফরে। সফর শেষ ১৮ সেপ্টেম্বর। অগস্টের শেষে দলীপ ট্রফি হলে প্রথম সারির ক্রিকেটারদের পাওয়া যাবে না। চল্লিশ দিনেরও বেশি ক্যারিবিয়ান সফর সেরে দেশে ফিরে সিনিয়ররা দলীপে খেলবেন কী না, তার নিশ্চয়তাও নেই। তাঁদের আবার ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে নেমে পড়তে হবে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে।
সিনিয়রদের সঙ্গে দলীপে খেলা নিয়ে কথা বলবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাওয়া দুই নির্বাচক সন্দীপ পাটিল ও বিক্রম রাঠৌর। তাঁরা বোর্ডকে জানাবেন, কোন কোন ক্রিকেটার এই টুর্নামেন্ট খেলতে আগ্রহী। এই খবরের ভিত্তিতে বোর্ড হয়তো সিদ্ধান্ত নেবে।
বোর্ডের ক্রীড়াসূচি কমিটির এক সদস্য বললেন, ‘‘দলীপে চারটে দল করতে হলে তো ৬০জন ক্রিকেটার দরকার। কিন্তু ওই সময় প্রথম বা দ্বিতীয় সারির ৬০ জন ক্রিকেটার পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। বড়জোর দুই বা তিন দলের করা যেতে পারে এ বারের দলীপ। তা-ও নমো নমো করে সারতে হবে মনে হয়।’’
কিন্তু নমো নমো করে দলীপ হোক, তা নাকি চায় না বোর্ডের স্পনসর ও টিভি রাইটস হোল্ডাররা। এতে বিজ্ঞাপন তোলাটা বেশ কঠিন হয়ে পড়বে বলে তারা জানিয়েছে।
এখন যা অবস্থা, তাতে গোলাপি বলে দিন-রাতের টেস্ট আয়োজনের সাধ থাকলেও বোধহয় সাধ্য নেই বোর্ডের।