একই দিনে কলকাতার দুই ক্লাবে ছাটাই হল দুই কোচ। ইস্টবেঙ্গলের পরিকল্পনা ছিলই। বৃহস্পতিবারই নিশ্চিত হয়ে যাবে কোচের ভাগ্য। সেই মতো খালিদ জামিলের বিদায় হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল থেকে। দু’বছরের চুক্তি থাকলেও সরিয়েই দেওয়া হল খালিদকে। অনেক চেয়েও কলকাতার ক্লাবে টিকে থাকতে পারলেন না আইজলকে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন করা কোচ।
অন্যদিকে দ্বিতীয় ডিভিশন আই লিগে মহমেডানের পর পর হারে সরিয়ে দেওয়া হল কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যকেও। একই দিনে দুই বড় ক্লাবের কোচ ছাটাই ঘিরে সরগরম ময়দান। মহমেডানে বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যকে সরিয়ে নিয়ে আসা হল মৃদুল বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি কতদিন টিকবেন তা সন্দেহ রয়েছে। যদিও সদ্য চেন্নাইয়ান এফসির দ্বিতীয় দলের কাছে হারটাই কাল হল মোহনবাগানের বিদায়ী কোচ বিশ্বজিতের।
অন্যদিকে খালিদকে সরে যেতে হল। আপাতত ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব সুভাষ ভৌমিকের কাঁধে। আই লিগে ইস্টবেঙ্গলের বিপর্যয়ের পর সুপার কাপের আগে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর করে খালিদের মাথায় বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল সুভাষকে। যদিও সামনে বলা হয়েছিল দু’জনে একসঙ্গেই কাজ করবেন। কিন্তু দু’জনের কোনও দিনই বনিবনা হয়নি। শুরুর দিকে অনুশীলনেই নামতেন না খালিদ। পরে কোনও রকমে কাজ চালালেও সুপার কাপে ভুবনেশ্বরে দু’জনের ঝামেলার কথা প্রকাশ্যে চলে আসে।
শেষ পর্যন্ত খালিদকেই সরে যেতে হল। যদিও সুভাষকে নিয়ে এসে সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। আপাতত কলকাতা লিগের কথা ভেবে সুভাষ ভৌমিককে টিডি করে দেওয়া হল। সহকারি হিসেবে থাকছেন রঞ্জন চৌধুরী। কোচ দ্রুত বেছে নেওয়া হবে। কোচ কে হবেন সেই সিদ্ধান্ত নেবেন স্বয়ং সুভাষ। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও বাঙালিকেই কোচ করে আনবেন। এর পর খালিদ জামিলের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।