অ্যারোজ বধরে অন্যতম নায়ক লাল-হলুদের আল আমনা। সঙ্গে মহম্মদ রফিক। ছবি: ফেসবুক সৌজন্যে।
কর্নার লাইন থেকে একটু ভিতরে পাওয়া ফ্রিকিক যে ও ভাবে গোলে ঢুকে যেতে পারে তা হয়তো স্বপ্নেও ভাবেননি আল আমনা। প্রভসুখনও কি বুঝেছিলেন? না হলে সব ছেড়ে কেন ফাস্ট পোস্টে এসে দাঁড়াবেন তিনি? তা দেখেই বক্সের মধ্যে হেড করতে পৌঁছে যাওয়া ইস্টবেঙ্গলের বাকি ফুটবলারদের মাথা লক্ষ্য করে বল দিলেন না তিনি। সরাসরি গোলকেই টার্গেট করলেন সিরিয়ান এই মিডিও। সঠিক উত্তরটি অবশ্য দিতে পারবেন তিনিই। কিন্তু আমনার ফ্রি কিক থেকে সরাসরি গোলে ঢুকে যাওয়া বলই ইস্টবেঙ্গলকে জয়ের মুখ দেখাতে সাহায্য করল। পরেরটা অবশ্য গোলকিপারের ভুলই দায়ী।
পাহাড়ে গিয়ে হঠাৎ ছন্দপতন হলেও ইন্ডিয়ান অ্যারোজের বিরুদ্ধে স্বমহিমায় ফিরে এল ইস্টবেঙ্গল। অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দলকে ২-০ গোলে হারিয়ে দিল খালিদ জামিলের দল।
গত ম্যাচে পুরো পয়েন্ট না আশায় এই ম্যাচে যে অল-আউট অ্যাটাকে যাবে ইস্টবেঙ্গল তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন কোচ খালিদ। কিন্তু প্রথমার্ধে অ্যাটাকিং স্ট্রাটেজি থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে দেখা যায় ডিফেন্সিভ ইস্টবেঙ্গলকে। ম্যাচের ১৩ মিনিটে প্রথম গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন আল আমনা। বক্সের বাইরে পাওয়া ফ্রি কিক থেকে জিরো ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে গোল করে যান সিরিয়ান মিডফিল্ডার। আমনার এই গোলের স্মৃতি দীর্ঘদিন মনে গেঁথে থাকবে লাল-হলুদ সমর্থকদের।
আল আমনার গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এক বার ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন কাটসুমি ইউসা। ছ’গজ বক্সের মধ্যে ঠান্ডা মাথায় এগিয়ে আসা গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে ইন সুইংয়ে গোল করে যান এই জাপানি তারকা। শুধু গোলই করেননি লাল-হলুদের এই দুই তারকা বিদেশি। ইস্টবেঙ্গলের প্রতিটি আক্রমণের কেন্দ্রেই ছিলেন এই দুই মিডফিল্ডার। তবে, বারবার আক্রমণ তৈরি হলেও স্ট্রাইকিং লাইনের দক্ষতার অভাবে গোল সংখ্যা বাড়াতে পারেনি লাল-হলুদ ব্রিগেড।
আরও পড়ুন: আইপিএলে ‘না’ মার্শের, বেছে নিলেন কাউন্টিকেই
আরও পড়ুন: এমসিজির পিচ খারাপ, বলল আইসিসি
চোটের কারণে অ্যারোজের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল দলে ছিলেন না ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর স্ট্রাইকার উইলিস প্লাজা। তবে, প্লাজা না থাকলেও ব্রাজিলীয় চার্লসকে এ দিন খেলাননি খালিদ। গোটা ম্যাচই ইস্টবেঙ্গল খেলে চার বিদেশি নিয়ে। তবে প্লাজার অনুপস্থিতিতে এ দিন প্রথম দলে সুযোগ পান কেরলের জবি জাস্টিন। কিন্তু, কলকাতা লিগে নজরকাড়া তরুণ জবিও ব্যর্থ হন গ্যালারিতে উপস্থিত সমর্থকদের মন ভরাতে।
অন্য দিকে, মোহনবাগানকে আটকে দেওয়া অ্যারোজ দলের খেলায় ম্যাচের শুরু থেকেই পরিকল্পনার অভাব ছিল। তার উপর ধীরাজের দল ছেড়ে দেওয়া আরও বিপাকে ফেলে দেয় অ্যারোজকে আজকের ম্যাচে। গোলের তলায় তরুণ প্রভসুখন সিংহ গিলের খেলায়ও আত্মবিশ্বাসের অভাব ছিল স্পষ্ট।
দিল্লিতে হোম টিম অ্যারোজের সমর্থকরা