পথ হারিয়ে রাস্তাতেই ঘুরল ইস্টবেঙ্গল বাস

সোমবার সুপার কাপে খেলতে ভুবনেশ্বরে যাওয়ার পথে রাস্তা হারিয়ে ইস্টবেঙ্গল দলের বাস ঘুরপাক খেল কটকের নানা রাস্তায়। চলে গেল বারবাটি স্টেডিয়ামের দিকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:৩৩
Share:

মোহনবাগানের পরে এ বার বাস বিভ্রাটে বিপর্যস্ত ইস্টবেঙ্গলও।

Advertisement

সোমবার সুপার কাপে খেলতে ভুবনেশ্বরে যাওয়ার পথে রাস্তা হারিয়ে ইস্টবেঙ্গল দলের বাস ঘুরপাক খেল কটকের নানা রাস্তায়। চলে গেল বারবাটি স্টেডিয়ামের দিকে। কলকাতা থেকে যাওয়া চালকের ভুলেই এই বিপত্তি। দু’দিন আগেই ভূবনেশ্বরের স্টেডিয়াম থেকে অনুশীলন করে বেরোনোর পথে ‘স্কাই ওয়াক’-এ ধাক্কা লাগায় আগুন ধরে গিয়েছিল মোহনবাগানের বাসের মাথায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রে।

সোমবার সকাল ন’টা নাগাদ কলকাতা থেকে রওনা হন ডুডু ওমাগবেমি-রা। প্রায় সাড়ে তেরো ঘণ্টা পর ভুবনেশ্বরের হোটেলে পৌঁছলেন তাঁরা! লাল-হলুদের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সুভাষ ভৌমিক অবশ্য এ দিনেই বিকেলেই পৌঁছে যান ভুবনেশ্বরে। তিনি অবশ্য দলের সঙ্গে যাননি। গিয়েছিলেন ট্রেনে। কোচ খালিদ জামিল দলের সঙ্গে ভুবনেশ্বর পৌঁছলেন সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পরে। ফুটবলাররা ভুবনেশ্বর পৌঁছনোর আগে পর্যন্ত প্রবল চিন্তায় ছিলেন সুভাষ। ৫ এপ্রিল ইস্টবেঙ্গলের প্রথম খেলা মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে। ভুবনেশ্বর থেকে ফোনে সুভাষ বলে দিলেন, ‘‘জানি না কখন, কী অবস্থায় দল থাকবে। পুরো দলকে দেখার পরই ঠিক করব মঙ্গলবার কখন অনুশীলন করাব।’’ দল না পৌঁছনো পর্যন্ত হোটেলের লবিতেই বসে ছিলেন সুভাষ। আর বাসের মধ্যে বসে থাকা অধিনায়ক অর্ণব মণ্ডল বলছিলেন, ‘‘কোথায় পৌঁছলাম, বাসের মধ্যে বসে বুঝতেও পারছি না। যে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার কথা, সেটা বন্ধ। পুলিশ বাস ঘুরিয়ে দিয়েছে।’’ দলের সঙ্গে থাকা এক কর্তা রাত দশটা নাগাদ বললেন, ‘‘বারবাটি স্টেডিয়ামের সামনে রয়েছি। এখনও আমাদের হোটেল প্রায় বাইশ কিলোমিটার দূরে।’’

Advertisement

বিকেলে দলের হোটেলে এসে পৌঁছনোর পর থেকেই সুভাষ বারবার ফোন করতে থাকেন বাসের মধ্যে থাকা কর্তা ও ফুটবলারদের। জানতে পারেন, কটকে মহানদীর উপর যে সেতু আছে, সেখানে একটি দুর্ঘটনা ঘটায় গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। রাস্তায় যানজট হয়েছে। পুলিশ সব গাড়ি ঘুরিয়ে দিচ্ছে। ইস্টবেঙ্গল বাসও তাই ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

বহু দিন পর ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্বে ফেরা আসিয়ানজয়ী কোচ কিছু করে দেখানোর ইচ্ছে নিয়ে সপ্তাহ তিনেক আগে মাঠে নেমে পড়েছেন। খালিদ জামিলের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেও দলের উপর তার প্রভাব পড়তে দেননি। কিন্তু হঠাৎ আসা এই ঝামেলায় তিনি বিরক্ত। বলছিলেন, ‘‘আমি বারবার বলেছিলাম ট্রেনে যাওয়া ভাল। কিন্তু সবাই বলল নিজেদের বাস যখন আছে, তখন তাতেই যাক দল।’’ সাধারণত কলকাতা থেকে ভুবনেশ্বর যেতে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা মতো লাগে। বিধ্বস্ত ডুডু-অর্ণবরা পৌঁছলেন প্রায় সাড়ে তেরো ঘণ্টা পরে!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন