ইস্টবেঙ্গলে উদ্বেগ আমনাদের নিয়ে

পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে ইস্টবেঙ্গলের প্রধান তিন ফুটবলার অনুশীলন করতে পারেননি। ফলে ম্যাচের চব্বিশ ঘণ্টা আগে সম্ভাব্য প্রথম একাদশ বেছে নেওয়ার পরিকল্পনাও ভেস্তে গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:৩৫
Share:

চিন্তায়: প্র্যাক্টিসের ফাঁকে আমনার সঙ্গে সুভাষ। বুধবার। —নিজস্ব চিত্র।

বুধবার সকালে যুবভারতীর অনুশীলন মাঠে ওয়ার্মআপ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বেরিয়ে এলেন মহম্মদ আল আমনা। টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সুভাষ ভৌমিক অনুশীলন ম্যাচের জন্য ডেকে নিলেন জনি আকোস্তাদের। কিন্তু চোখে সংক্রমণের জন্য মাঠের বাইরে দাঁড়িয়েই আমনা দেখলেন সতীর্থদের পিয়ারলেস ম্যাচের প্রস্তুতি।

Advertisement

লালরিনডিকা রালতেকে দেখা গেল বল হাতে নিয়ে সাইডলাইনের ধারে চিন্তিত মুখে হাঁটছেন। বাঁ পায়ের গোড়ালি এতটাই ফুলে রয়েছে যে, বুট পরতে পারেননি। আর এক মিডফিল্ডার ব্রেন্ডন ভানলালরেমডিকাও গোড়ালিতে চোটের জন্য মাঠের বাইরে বসেছিলেন। পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে দলের প্রধান তিন ফুটবলার অনুশীলন করতে পারেননি। ফলে ম্যাচের চব্বিশ ঘণ্টা আগে সম্ভাব্য প্রথম একাদশ বেছে নেওয়ার পরিকল্পনাও ভেস্তে গিয়েছে। তার উপরে এ দিন বিকেলে এফসিআই-কে ৫-০ চূর্ণ করে গোলপার্থক্য অনেকটাই বাড়িয়ে নিয়েছে মোহনবাগান। অথচ ইস্টবেঙ্গল কোচ বাস্তব রায় আশ্চর্য রকম নির্লিপ্ত। বললেন, ‘‘আমাদের কাছে সব ম্যাচই এখন নক আউট। এই মুহূর্তে গোলপার্থক্য নিয়ে ভাবছি না। পিয়ারলেস এ বারের লিগের অন্যতম শক্তিশালী দল। আগের ম্যাচে পাঠচক্রের বিরুদ্ধে হারলেও ওদের দুর্বল ভাবার কারণ নেই।’’

কিন্তু প্রধান তিন ফুটবলার তো অনুশীলনই করতে পারলেন না। লাল-হলুদ কোচের ব্যাখ্যা, ‘‘তিন জনের কাউকে নিয়েই খুব একটা উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। সংক্রমণ পুরোপুরি না সারলেও আগের চেয়ে ভাল রয়েছে আমনা। ডিকা ও ব্রেন্ডনের চোট নিয়েও চিন্তিত নই। আশা করছি, ওরা সুস্থ হয়ে উঠবে। এই জন্যই বৃহস্পতিবার সকালে চূড়ান্ত দল বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ এই কারণেই বুধবার সকালে মিনিট কুড়ির অনুশীলন ম্যাচের পরে সেট-পিসে জোর দেন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সুভাষ ভৌমিক। চোটের কারণে ডিকা মাঠের বাইরে থাকায় লালরোজামা ফানাই একের পর এক কর্নার তুলে গেলেন। তা থেকে গোল করার চেষ্টা করলেন জনি আকোস্তা, জবি জাস্টিন, বালি গগনদীপেরা। স্প্যানিশ কোচ আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস দুই সহকারীকে নিয়ে পুরো অনুশীলনই দেখলেন। তার পরে সুভাষের সঙ্গে কথা বলে

Advertisement

বেরিয়ে গেলেন। পিয়ারলেস শিবিরেও খুব একটা স্বস্তি নেই। লিগ টেবলে তিন নম্বরে থাকলেও পাঠচক্রের বিরুদ্ধে হেরে খেতাবি দৌড় থেকে কার্যত ছিটকে গিয়েছে তারা। তার উপরে কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের সঙ্গে সংঘাত বেধেছে তারকা ফুটবলার রহিম নবির। যদিও পিয়ারলেস কোচ দাবি করলেন, ‘‘নবি ক্ষমা চেয়েছে। তাই ওর সঙ্গে আর কোনও সমস্যা নেই।’’

এ বারের কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে মোহনবাগানকে আটকে দিয়েছে পিয়ারলেস। হারিয়েছে মহমেডানকে। বৃহস্পতিবার কি ইস্টবেঙ্গলের জয়ের পথে কাঁটা ছড়িয়ে দিতে পারবে তারা? বিশ্বজিৎ বলছেন ‘‘ইস্টবেঙ্গল অনেক শক্তিশালী দল। তার উপরে খেতাবি দৌড়ে রয়েছে। আমার দলের অধিকাংশ ফুটবলারদেরই বয়স কম। অভিজ্ঞতাতেও অনেক পিছিয়ে।’’ নবি অবশ্য আত্মবিশ্বাসী। গত রবিবার যুবভারতীর সাধারণ গ্যালারিতে বসে ডার্বি দেখেছেন। পুরনো ক্লাবের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে নবি বললেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গল খেতাবি দৌড়ে রয়েছে। তার উপরে খেলবে নিজেদের মাঠে। ফলে ওরাই চাপে থাকবে। আমাদের কিছু হারানোর নেই।’’

বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে

ইস্টবেঙ্গল বনাম পিয়ারলেস (ইস্টবেঙ্গল, বিকেল ৪.৩০ সরাসরি সাধনা নিউজে)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন