ফুরফুরে: চাপ থাকলেও ঘুম ছোটেনি খালিদের। ফাইল চিত্র
কলকাতা ময়দানে কোচ হিসেবে সরকারি ভাবে এখনও তাঁর অভিষেক হয়নি। কিন্তু মাত্র চার দিন অনুশীলন করেই প্রত্যাশার চাপ অনুভব করতে শুরু করে দিয়েছেন খালিদ জামিল। বৃহস্পতিবার সকালে ইস্টবেঙ্গল মাঠে অনুশীলনের পর আই লিগ চ্যাম্পিয়ন কোচের মন্তব্য, ‘‘কোনও সন্দেহ নেই প্রবল চাপ রয়েছে। কিন্তু আমি তা নিয়ে উদ্বিগ্ন নই। এই চাপ নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। তবে একটু সময় দরকার মানিয়ে নেওয়ার জন্য।’’ সঙ্গে যোগ করলেন, ‘‘এই চাপ আমি রীতিমতো উপভোগ করছি।’’
গত মরসুমে আইজল এফসি-কে আই লিগে চ্যাম্পিয়ন করে চমকে দিয়েছেন খালিদ। তাঁকে কোচ করেই আই লিগে চোদ্দো বছরের ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল। খালিদের পরামর্শেই এ বছর মহম্মদ আল আমনা-সহ আইজল এফসি-র একাধিক ফুটবলারকে নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। তবে এই মুহূর্তে খালিদের পাখির চোখ কলকাতা লিগ। টানা আট বার কলকাতা লিগ জয়ের লক্ষ্যে অগস্টের প্রথম সপ্তাহে অভিযান শুরু করছে ইস্টবেঙ্গল। অথচ এখনও কোনও বিদেশি যোগ দেননি প্রাক-মরসুম প্রস্তুতিতে। আমনার কলকাতায় আসার কথা শুক্রবার। ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগোর জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ায় উইলিস প্লাজা ও কার্লাইল মিশেল কবে যোগ দিচ্ছেন দলে তা নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত। লাল-হলুদ কোচ অবশ্য তা নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নন। তিনি বলছেন, ‘‘আশা করছি সামনের সপ্তাহ থেকেই বিদেশিরা অনুশীলনে যোগ দেবে।’’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘প্রথম ম্যাচটা সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ। এই মুহূর্তে আমাদের প্রধান লক্ষ্য প্রথম ম্যাচটা জিতে লিগ শুরু করা। তার পর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা ভাবব।’’
আরও পড়ুন: বনগাঁর আখড়া থেকে বাংলার কবাডি যোদ্ধা
অর্ণব মণ্ডল, গুরবিন্দর সিংহ, মহম্মদ রফিকের মতো অভিজ্ঞদের পাশাপাশি একঝাঁক জুনিয়র ফুটবলার এ বছর সই করেছেন ইস্টবেঙ্গলে। খালিদের মতে, দলের সাফল্য মূলত নির্ভর করে সিনিয়র-জুনিয়রদের মধ্যে বোঝাপড়ার ওপর। বলেছেন, ‘‘লিগ শুরু হওয়ার আগে সিনিয়র ও জুনিয়রদের মধ্যে বোঝাপড়া গড়ে তোলাটা গুরুত্বপূর্ণ।’’ লাল-হলুদ কোচ ভানলালরেমডিকা, লালরামচুলোভা-দের পারফরম্যান্সে যে তিনি উচ্ছ্বসিত তা গোপন করেননি। জানিয়েছেন, প্রত্যেকেই প্র্যাকটিসে নিজেদের উজাড় করে দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে জানালেন, প্র্যাকটিস ম্যাচ থেকেই কলকাতা লিগের জন্য চূড়ান্ত দল বেছে নিতে চান। খালিদ বললেন, ‘‘লিগ শুরু হওয়ার আগে অন্তত একটা-দু’টো প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলতে চাই।’’