পেনাল্টি উপহার দিয়েছি, বলছেন হতাশ খালিদ

অঙ্কের বিচারে খেতাব এখনও হাতছাড়া হয়নি। লড়াইয়ের চার দলের মধ্যে ডুডু ওমেগবেমিরাও রয়েছেন। তা সত্ত্বেও ম্যাচের শেষে খালিদ জামিল বলে দিলেন, ‘‘আমরা ওদের ফ্রি কিক এবং পেনাল্টি উপহার দিয়েছি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৮ ০৪:০৮
Share:

খালিদ জামিল।

কোনও অঙ্কের উপরই যেন আর আস্থা রাখতে পারছে না ইস্টবেঙ্গল শিবির। শিলংয়ে ম্যাচের পর তাই লাল-হলুদের টিম হোটেলে শুধুই হাহুতাশ। হাতের মুঠোয় ১৪ বছর পর খেতাব জেতার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া হতে চলেছে, এটা ভেবেই মুষড়ে পড়েছে মশালবাহিনী। কর্তা থেকে ফুটবলার সবাই। জোড়া গোল করেও ডুডুর মুখে তাই হাসি নেই। ফোনে কোনও মন্তব্য করতে চাইলেন না। আল আমনাদের মুখেও নেমেছে অন্ধকার।

Advertisement

অঙ্কের বিচারে খেতাব এখনও হাতছাড়া হয়নি। লড়াইয়ের চার দলের মধ্যে ডুডু ওমেগবেমিরাও রয়েছেন। তা সত্ত্বেও ম্যাচের শেষে খালিদ জামিল বলে দিলেন, ‘‘আমরা ওদের ফ্রি কিক এবং পেনাল্টি উপহার দিয়েছি। দুটো বিশ্রী গোল খেয়েছি। গোল করেও সেটা ধরে রাখতে পারিনি। কাজটা কঠিন হয়ে গেল। আমাদের হাতে আর থাকল না খেতাবের ব্যাটন।’’ হতাশায় ভেঙে পড়া লাল-হলুদ কোচের গলা থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে অবশ্য এ-ও বেরিয়েছে, ‘‘শেষ ম্যাচ শেষ সুযোগ। চেষ্টা করতে হবে।’’ তবে সেটা নিতান্তই কথার কথা। কোচেরা যেরকম বলে থাকেন। সেই ঢং-য়ে বলা।

শিলংয়ের মাঠে বেশ কিছু লাল-হলুদ সমর্থক এসেছিলেন ব্যানার-পতাকা নিয়ে। কলকাতা থেকে গিয়েছিলেন অনেকেই। ম্যাচ ড্র হওয়ার পর হতাশার সঙ্গে কোচের নানা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন তারা। কেন অর্ণব মণ্ডলের মতো অভিজ্ঞ ডিফেন্ডারকে বসিয়ে রাখা হল? কেন কোনওদিন এক সঙ্গে না খেলা গুরবিন্দর সিংহ-সালামরঞ্জন সিংহকে নামিয়ে দেওয়া হল স্টপারে? কেন মহম্মদ রফিকের মতো ফুটবলারকে শুরু থেকে খেলানো হল না? কিন্তু সে সব জবাব দেওয়ার মতো অবস্থা ছিল না খালিদের। হোটেলে ফিরে দীর্ঘক্ষণ ঘরের দরজা বন্ধ করে বসে থেকেছেন তিনি। কলকাতা ময়দানে ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতেও এ দিন ম্যাচের পরে বিক্ষোভ দেখান এক দল সমর্থক। ফের খালিদকে সরানোর দাবি তোলেন তাঁরা।

Advertisement

রবিবার রাতে মোহনবাগানের দিপান্দা ডিকা ফোন করেছিলেন অধিনায়ক অর্ণব মণ্ডলকে। বলেন, ‘‘তোমার হাতে ট্রফিটা দেখতে চাই।’’ সেই প্রসঙ্গ টেনে ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক বললেন, ‘‘কোচ হয়ত প্রয়োজন মনে করেননি বলে নামাননি। তাতে দুঃখ নেই। তবে এটা ভেবে খারাপ লাগছে যে, সাত বছর খেলে একবারও আই লিগ পেলাম না! আমার মন বলছে, এত সুযোগ পেলাম। কিছু করতে পারলাম না। আর হবে না।’’ পাশে বসে মোবাইলে লিগ টেবল খুলে মহম্মদ রফিকের দীর্ঘশ্বাস। ‘‘যা দেখছি মিনার্ভা এ বার বেরিয়ে যাবে। আমরা পারলাম না। মোহনবাগানেরও দেখছি সুযোগ এসে গিয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন