ধাক্কা: নেরোকার বিরুদ্ধে ড্র করে বিধ্বস্ত কাতসুমি-আমনা। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
যুবভারতীতে নেরোকা এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচ শেষ হওয়ারর সঙ্গে সঙ্গে রেফারি রোয়ান আরুমুঘান-কে ঘিরে ধরলেন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা।
গুরবিন্দর সিংহ-কে প্রথম একাদশে এ দিন রাখেননি কোচ খালিদ জামিল। কিন্তু শেষ বাঁশি বাজার পর ক্ষুব্ধ লাল-হলুদ ডিফেন্ডারও দৌড়ে যান রেফারির দিকে। আর ম্যাচ শেষ হয়ে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক পরেও রাগে ফুঁসছিলেন অধিনায়ক অর্ণব মণ্ডল।
আই লিগের শেষ ম্যাচে নেরোকা-র বিরুদ্ধে জিততে না পারার জন্য রেফারিকে কাঠগড়ায় তুলছে লাল-হলুদ শিবির। অর্ণব বললেন, ‘‘ম্যাচের শুরু থেকেই রেফারির সামনে নেরোকা-র ফুটবলাররা ফাউল করেছে। কিন্তু রেফারি কোনও ব্যবস্থা নেননি। আমরা প্রতিবাদ করলে বলছেন, নেরোকা-র কাউকে কার্ড দেখাব না।’’ ক্ষিপ্ত অর্ণব যোগ করলেন, ‘‘দু’টো ন্যায্য পেনাল্টি থেকেও বঞ্চিত করেছেন রেফারি।’’
ইস্টবেঙ্গলের ফুটবল সচিব রজত গুহ শুধু রেফারিং নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েই থেমে থাকেননি। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কর্তাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের বিস্ফোরক অভিযোগও করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘মিনার্ভা-কে চ্যাম্পিয়ন করার জন্য আই লিগের শুরু থেকেই তৎপর ফেডারেশনের কর্তারা। এই কারণেই আই লিগের সিইও সুনন্দ ধর পঞ্চকুল্লায় মিনার্ভা বনাম চার্চিল ম্যাচে হাজির ছিলেন। যুবভারতীতে ফেডারেশনের কোনও কর্তা আসার প্রয়োজন অনুভব করেননি।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমরা যাতে জিততে না পারি, তার জন্য আগে থেকেই রেফারিকে নির্দেশ দিয়ে রেখেছিলেন ফেডারেশনের শীর্ষ কর্তারা।’’
ব্যর্থ মোহনবাগানের লড়াই। ছবি: এআইএফএফ।
লাল-হলুদ কোচও ম্যাচ চলাকালীন সাইড লাইনের ধারে দাঁড়িয়ে বারবার রেফারির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়েছেন। এমনকী, খেলা শেষ হওয়ার পরে তিনিও রেফারির দিকে ছুটে যান ক্ষুব্ধ ফুটবলারদের সঙ্গে। অথচ আশ্চর্যজনক ভাবে সাংবাদিক বৈঠকে রেফারিং নিয়ে কোনও অভিযোগ করলেন না। খালিদ বললেন, ‘‘রেফারিং নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। আর পেনাল্টি হয়েছিল কি না, আমি দেখতে পাইনি।’’
মোহনবাগান শিবিরে অবশ্য রেফারিং নিয়ে কোনও ক্ষোভ নেই। কোঝিকোড়ে গোকুলম এফসি-র বিরুদ্ধে এ দিন এগিয়েও জয় হাতছাড়া করেছেন দিপান্দা ডিকা-রা। ম্যাচের পরে সবুজ-মেরুন কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী বললেন, ‘‘রেফারিং নিয়ে আমাদের কোনও ক্ষোভ নেই। খুব ভাল ম্যাচ খেলিয়েছেন রেফারি।’’