যেন ধ্যানমগ্ন। জাকুজিতে র্যান্টি মার্টিন্স। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস
যত গর্জন হয়েছিল ততটা তো দূরের কথা, বিন্দুমাত্র বর্ষণও হল না! শেষমেশ আইএফএ-র পরিবর্তিত সূচি মেনে বুধবার যুবভারতীতে পুলিশ এসি-র সঙ্গে খেলতে রাজি হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল!
সোমবার বিকেলেই আইএফএ প্রকাশ করেছিল নতুন সূচি। আর তার ঘণ্টাখানেক পরেই ক্লাব তাঁবুতে বসে লাল-হলুদ সচিব কল্যাণ মজুমদার বলেছিলেন, “আইএফএ-কে লিখিত ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সূচি পরিবর্তন হলে আমরা খেলব না। যে সূচি ছিল আমরা সেই অনুযায়ী খেলতে চাই।”
কিন্তু চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে কী এমন হল যে ইস্টবেঙ্গল খেলতে রাজী হয়ে গেল? এ দিন সকালে অনুশীলনে এসে ফুটবলাররাও জেনে যান বুধবার কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে তাঁদের প্রতিপক্ষ পুলিশ এসি। বিকেলে আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ইস্টবেঙ্গল প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। কেন সূচি পরিবর্তন তা ওঁদের বুঝিয়ে বলা হয়েছে। বৈঠক ইতিবাচক। আমি আশাবাদী ওঁরা নতুন সূচি অনুযায়ী খেলবে।”
ইস্টবেঙ্গল ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্য আবার বলে দেন, “আইএফএ-র অনুরোধে বুধবার যুবভারতীতে পুলিশের বিরুদ্ধে নামছি। কিন্তু নতুন সূচি অনুযায়ী পরের দুই ম্যাচ খেলা নিয়ে এখনই কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারছি না।” ফলে টানাপোড়েন যে শেষ তা এখনও বলা যাচ্ছে না।
লিগের শুরুতে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্লাবের মাঠে ১-০ এগিয়ে গিয়েও মন্দ আলোর জন্য ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের। যার পর লাল-হলুদ কর্তারা দাবি তুলেছিলেন, যে সময়ে খেলা শেষ হয়েছে সেই বাকি সময়টুকুই খেলবে ইস্টবেঙ্গল। এ দিন সে দাবিও উধাও। তখন অবশ্য পুলিশের কোচ ছিলেন চিমা ওকোরি। এখন অবশ্য তিনি পদত্যাগ করেছেন। ইস্টবেঙ্গলেও ডুডু আসায় আক্রমণ ভাগ আগের চেয়ে শক্তিশালী। কোচ আর্মান্দো কোলাসো বলছেন, “যারাই প্রতিপক্ষ হোক আমরা তৈরি।” কোচের কথাতেই ইঙ্গিত, পুলিশের বিরুদ্ধে তিন পয়েন্ট আনতে র্যান্টি-ডুডু জুটির ওপরই ভরসা রাখছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। কারণ পয়েন্ট নষ্ট করলেই হাতছাড়া হাতছাড়া হতে পারে লিগ খেতাব।
বুধবার কলকাতা প্রিমিয়ার লিগ
ইস্টবেঙ্গল: পুলিশ এসি (যুবভারতী, ৪-০০)।