আকোস্তার সঙ্গে প্রস্তুতিতে ব্যস্ত এনরিকে (বাঁ দিকে)। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
কলকাতায় পা দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাবাকে নিয়ে ইস্টবেঙ্গল অনুশীলনে হাজির হয়ে গেলেন এনরিকে এসকুয়েদা। কোচ আলেসান্দ্রো মেনেন্দেসের তত্ত্বাবধানে এ দিন টানা দু’ঘণ্টা আলাদা অনুশীলন করলেন তিনি। প্যাভিলিয়নে বসে যা দেখলেন তাঁর বাবা।
এ দিকে, ডার্বির পাঁচ দিন আগে মঙ্গলবার থেকেই ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা প্রচারমাধ্যমের সঙ্গে বাক্যালাপ বন্ধ করে দিলেন। অনুশীলনের পরে ইস্টবেঙ্গল কোচ প্রতিনিধি মারফত জানিয়ে দেন, ‘‘ডার্বি ম্যাচের উপর নির্ভর করছে ক্লাবের আই লিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে জিততে না পারলে লিগ টেবলে অনেকটাই পিছিয়ে পড়তে হবে। তাই বড় ম্যাচ জেতার জন্য পুরো দল মনোনিবেশ করছে। কোচ যথা সময়ে প্রচারমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন। তার আগে যেন কোচ বা ফুটবলারদের বিরক্ত না করা হয়।’’ এনরিকে চলে আসায় ইস্টবেঙ্গল কোচ তাঁর ছয় বিদেশিকেই পাচ্ছেন। এর মধ্যে কোন পাঁচ জনকে নিয়ে তিনি প্রথম দলে রাখবেন, তা ঠিক করবেন আগামী চারটি অনুশীলনে। এ দিন সকালে অনুশীলনে তারই এক প্রস্ত মহড়া দিয়ে রাখলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ।
বোরখা গোমেস ও সালাম রঞ্জন সিংহকে স্টপারে রেখে দুই সাইডব্যাক রেখেছিলেন লালরাম চুলোভা ও মনোজ মহম্মদকে। এঁদের বিপক্ষে দুই সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার রাখা হয়েছিল লালরিনডিকা রালতে ও কাশিম আইদারাকে। দুই প্রান্তে লালডানমাউইয়া রালতে ও টোনি দোভালে। এঁদের সামনে খাইমে সান্তোস কোলাদো। তার আগে জবি জাস্টিন। অনুশীলনে জবি বা খাইমের মধ্যে এক জন নেমে এসে ডিকা বা কাশিমের সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে বল পাঠাচ্ছিলেন দুই প্রান্তে। অন্য স্ট্রাইকার তখন বিপক্ষ রক্ষণে ফাঁকা জায়গা নিচ্ছিলেন। টোনি বা লালডানমাউইয়া কাট করে ভিতরে ঢুকে অরক্ষিত জায়গায় থাকা স্ট্রাইকারকে বল পাঠিয়ে গোলের দরজা খোলার চেষ্টা করছিলেন বার বার। অর্থাৎ গতি ও পাসিং ফুটবল প্রয়োগ করে বিপক্ষ রক্ষণকে পলকে এলোমেলো করে দিয়ে ফাঁকা জায়গা তৈরির প্রচেষ্টা। পরে জনি আকোস্তা ও কিংশুক ও লালরোজামা ফানাইকে রেখেও একই অনুশীলন করান আলেসান্দ্রো। কিন্তু মাঠে সাংবাদিকদের সংখ্যা বাড়তেই এই অনুশীলনে ইতি টেনে দেন আলেসান্দ্রো। শুরু করেন পাসিং নিখুঁত করার অনুশীলন।