তবু মর্গ্যানকে রাখতে চায় ইস্টবেঙ্গল

ডেম্পোকে আই লিগ থেকে নামিয়ে দিয়েছিলেন গত বছর। তার পরেও ট্রেভর জেমস মর্গ্যানে আস্থা রেখেছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। কিন্তু লাল-হলুদে তাঁর দ্বিতীয় ইনিংসে পরপর তিন ম্যাচে ব্যর্থ। দু’টো হার, একটা ড্র।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৬ ০৫:২৬
Share:

ডেম্পোকে আই লিগ থেকে নামিয়ে দিয়েছিলেন গত বছর। তার পরেও ট্রেভর জেমস মর্গ্যানে আস্থা রেখেছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। কিন্তু লাল-হলুদে তাঁর দ্বিতীয় ইনিংসে পরপর তিন ম্যাচে ব্যর্থ। দু’টো হার, একটা ড্র। আই লিগ হেরে শেষ করার পর ফেড কাপে গোড়াতেই মর্গ্যানের ইস্টবেঙ্গল বিদায় নেওয়ায় পর তাই ক্লাবে প্রশ্ন উঠে গেল, সিডনিবাসী ব্রিটিশ কোচকে পরের মরসুমে রেখে দেওয়া কি ঠিক হবে?

Advertisement

মর্গ্যানের লাল-হলুদে প্রত্যাবর্তনে যিনি সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখিয়েছেন, ক্লাবের সেই ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্য বলে দিলেন, ‘‘এই পারফরম্যান্সের পর যে কেউ কোচ নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই পারেন। তবে ওঁর সঙ্গে পরের মরসুমের ব্যাপারে কথাবার্তা হয়ে আছে। চুক্তিপত্রও তৈরি হচ্ছে। দেখা যাক।’’ ফুটবল সচিবের কথাতেই ইঙ্গিত, কোচ বদলের পরেও এই ফলে তিনি হতাশ। মর্গ্যান বিরোধী বলে পরিচিত ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যাণ মজুমদারের গলাতে আবার যেন অন্য ইঙ্গিত! ‘‘আমাদের ক্লাব তো গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে চলে। সবাই মিলে ঠিক করবে, কে পরের মরসুমে কোচ থাকবে।’’ কোচ নিয়ে চাঁছাছোলা প্রতিক্রিয়া না দিলেও র‌্যান্টি-বেলো-দীপকদের উপর খড়্গহস্ত ক্লাব সচিব। ‘‘লাথি মেরে ক্লাব থেকে বার করে দেওয়া উচিত। একটা ভাল পাস দিতে পারে না, একটা সেট পিস থেকে গোল করতে পারে না!’’

বুধবার বারাসতেই শেষ হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গলের এ বারের ফুটবল মরসুম। মর্গ্যানকে নতুন মরসুমে হয়তো ফিরিয়ে আনা হবে। অন্তত সে রকমই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে ক্লাব সূত্রের খবরে। তবে যাঁর ছেড়ে যাওয়া আসনে মর্গ্যানকে এনে বসিয়েছে ইস্টবেঙ্গল, সেই পদত্যাগী কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য প্রাক্তন দলের এই ফলে অবাক! বললেন, ‘‘লাজংয়ের সঙ্গে টানা তিনটে ম্যাচের একটাতেও কেন ইস্টবেঙ্গল জিততে পারল না, উল্টে দু’টো হারল বুঝলাম না। আমার সময় ওদের তো হারিয়েছিলাম।’’ পরের মরসুমেও মর্গ্যানকে রেখে দেওয়ার সম্ভাবনা শুনে ইস্টবেঙ্গলকে এ মরসুমে কলকাতা লিগ দেওয়া এবং দু’টো ডার্বিতে জেতানো বাঙালি কোচের মন্তব্য, ‘‘এখানকার কর্তারা কেন জানি না বিদেশি কোচ ব্যর্থ হলেও তাকে ডেকে আনেন। আবার সুযোগ দেন। আর দেশি কোচ সফল হলেও তাকে পিছন থেকে ছুরি মারা হয়। কী আর বলব! বলতে গেলে তো অনেক কিছুই বলা যায়।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement