বৃহস্পতিবার অনুশীলনে বুকেনিয়া। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস।
ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের টিমের দু’নম্বর বিদেশি ইভান বুকেনিয়া মাঠে নেমে পড়লেন। বৃহস্পতিবার সেন্ট্রাল পার্কে অনুশীলনও করেন উগান্ডার এই ডিফেন্ডার। নতুন যে তিন বিদেশিকে কর্তারা এ বার দলে নিচ্ছেন তাঁদের মধ্যে বুকেনিয়াকে নিয়েই সবার চিন্তা ছিল বেশি। তিনি ফিট কি না তা নিয়েও সংশয় ছিল। কিন্তু পুরো অনুশীলনে দেখার পর লাল-হলুদ কোচ এ দিন রাতে কর্তাদের আশ্বস্ত করেছেন, ওকে নিয়ে সমস্যা হবে না। খেলার মধ্যেই আছে।
অর্ণব মণ্ডলের চোট। তাই আইজল এফ সি-র বিরুদ্ধে স্টপারে হয়তো বুকেনিয়ার সঙ্গে দেখা যেতে পারে আনোয়ার আলিকে। মর্গ্যান অবশ্য এ দিন অনুশীলনে প্রথম টিমে খেলাননি নতুন বিদেশিকে। কোচ যে সিদ্ধান্তই নিন, ফুটবলারদের মধ্যে অবশ্য খালিদ জামিলের টিম নিয়ে ভাবনা শুরু হয়ে গিয়েছে। আজ ওয়েডসন-সহ সব ফুটবলারকে নথিভুক্ত করিয়ে নিয়েছেন লাল-হলুদ কর্তারা। আইএফএ অফিস থেকে বেরিয়ে আনোয়ার বললেন, ‘‘আমি বহুদিন খালিদের কোচিংয়ে খেলেছি। ও সবসময় ডিফেন্সিভ ফুটবল খেলে। আমাদের ম্যাচটা জিততে হবে।’’ খালিদ এ দিন টিম নিয়ে বারাসতে অনুশীলন করে এলেও ইস্টবেঙ্গল সরাসরি শনিবার ম্যাচের দিনই নামবে সেখানে।
এ দিকে এ বারের আই লিগের বোধন হওয়ার আটচল্লিশ ঘণ্টা আগেও তা নিয়ে কোনও প্রচার নেই কলকাতার কোথাও। তিন বছরেই এ দেশের ক্লাব ফুটবলে ইতিহাস তৈরি করা বেঙ্গালুরু এফ সি ইতিমধ্যেই একটি কোম্পানির মাধ্যমে শহর ছেয়ে ফেলেছে নানা হোর্ডিং, ব্যানারে। সেখানকার কর্তারা বিপণনে পেশাদারিত্ব দেখিয়েছেন বলে খবর। নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্লাব পঞ্জাবের মিনার্ভা এফ সি তাদের মাঠে সেরা গায়কদের এনে নানা অনুষ্ঠান করার চেষ্টা করছে বলে খবর। কলকাতার দুই প্রধান ইস্টবেঙ্গল বা মোহনবাগান সেই রাস্তায় হাঁটেনি। সদস্য-সমর্থকদের আবেগের উপরই সব কিছু ছেড়ে দিয়েছে বসে আছেন তাঁরা। আইএসএলে দেখা গিয়েছিল আটলেটিকো দে কলকাতা-সহ সব ক্লাব নানাভাবে নিজেদের বিপণন করছে। আই লিগে সেটাই দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ টিমে।