আটলেটিকো দে কলকাতার বিরুদ্ধে এক পয়েন্ট পেলেও অখুশি হবেন না এলানো ব্লুমার!
ফুটবল বিশেষজ্ঞরা শুক্রবারের যে ম্যাচকে আইএসএলের অন্যতম হাইপ্রোফাইল ম্যাচ বলছেন, লুই গার্সিয়াদের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচকেই বাড়তি গুরুত্ব দিতে রাজি নন চেন্নাইয়ান এফসি-র ব্রাজিলিয়ান তারকা। বুধবার শহরে পৌঁছে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা এলানো বলে দিলেন, “বাকি ম্যাচগুলোর মতো কলকাতাও আর একটা ম্যাচ। আলাদা কোনও গুরুত্ব নেই। তিন পয়েন্টের লক্ষ্যে মাঠে নামব। এক পয়েন্ট পেলে অখুশি হব না।”
কলকাতার সঙ্গে পয়েন্ট এক হলেও গোল পার্থক্যে দু’নম্বরে মাতেরাজ্জির টিম। তবে মঙ্গলবার পুণে সিটির বিরুদ্ধে এলানো পেনাল্টি নষ্ট না করলে হয়তো ফিকরু তেফেরাদের টপকে শীর্ষে পৌঁছে যেত অভিষেক বচ্চনদের টিম। পেনাল্টি মিস করার আফসোস আছে। কিন্তু সেটা অতীত বলে পিছনে ফেলে আটলেটিকো ম্যাচকে পাখির চোখ করতে চান এলানো।
চ্যানেলের এক সাংবাদিক পেনাল্টি নষ্টের কথা তুললে ’৮৬ বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনাল টানলেন এলানো। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যে ম্যাচে পেনাল্টি নষ্ট করেন ব্রাজিলের জিকো। যার ফলে ম্যাচ ১-১ ড্র হয়। টাইব্রেকারে আবার পেনাল্টি মিস করেন ব্রাজিলের সক্রেটিস এবং জুলিয়ো সিজার। ফ্রান্সের প্লাতিনিও পেনাল্টি মিস করেছিলেন। টাইব্রেকারে ম্যাচ ৪-৩-এ শেষ হয়। ফ্রান্স জিতে যায়। আর বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যায় ব্রাজিল। সেই সময় যে জিকো, প্লাতিনি, সক্রেটিসদের সেটপিস মাস্টার বলা হত, সেটা মনে করিয়ে ব্রাজিলের জার্সিতে বিশ্বকাপ খেলা এলানো বললেন, “এ রকম ঘটনা যে কোনও ফুটবলারের জীবনে ঘটতে পারে। বল গোলে রাখতে চেয়েছিলাম। হয়নি। আমি পুণে ম্যাচে পেনাল্টি মিস করেছি মানে সব ম্যাচে করব এমন নয়। পুণে ম্যাচ এখন অতীত।”
আইএসএলে খেলতে খেলতেই ব্রাজিল কোচ দুঙ্গার ডাকের অপেক্ষায় আছেন এলানো। টিম হোটেলে বসে সংবাদমাধ্যমকে সেটা জানান নিজেই। যে দুঙ্গার কোচিংয়ে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন ২০১০-এ, সেই দুঙ্গাই এখন নেইমারদের কোচ। সে বার বিশ্বকাপের গ্রুপ লিগে পরপর দু’ম্যাচে উত্তর কোরিয়া এবং আইভরি কোস্টের বিরুদ্ধে গোলও রয়েছে এলানোর। কিন্তু চোটের জন্য পরের ম্যাচগুলো আর খেলতে পারেননি। “সে বার চোটের জন্য খেলতে পারিনি পুরো বিশ্বকাপ। জানি না এখন আর দুঙ্গা ডাকবেন কি না। তবে আমি জাতীয় দলে খেলার জন্য তৈরি।”
কাকা তাঁর পছন্দের ফুটবলার। পছন্দ করেন রোনাল্ডো, রোনাল্ডিনহোদেরও। তবে ব্রাজিল জাতীয় দলে খেলার সময় তাঁর কাছের বন্ধু ছিলেন রোবিনহো। পুরনো স্মৃতিচারণা করার ফাঁকেই বলে দিলেন, “সব ঠিকঠাক চললে পরের বছর রোনাল্ডিনহোকে ভারতে খেলতে দেখা যেতে পারে। ও আগ্রহী।”
এ দিন রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলারদের নিয়ে যুবভারতী গিয়েছিলেন ইতালির বিশ্বকাপার। হালকা অনুশীলনও করিয়েছেন। তবে মাতেরাজ্জির আসল উদ্দেশ্য ছিল, যুবভারতীর কৃত্রিম ঘাসের মাঠ সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরি করা।