জয়ের পরে ইয়ান বেল আর জো রুট। ছবি: রয়টার্স।
তিন দিনেই শেষ তৃতীয় অ্যাসেজ টেস্ট। অস্ট্রেলিয়াকে আট উইকেটে হারিয়ে সিরিজে ২-১ এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড। স্টিভন ফিন (৬-৭৯) দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংকে একাই প্রায় শেষ করে জয়ের দিকে দলকে অনেকটা এগিয়ে দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ছিল ১৬৮-৭। এ দিন অজিদের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়ে যায় ২৬৫ রানে। জয়ের জন্য ১২১ রানের টার্গেট ইয়ান বেল (৬৫ ন.আ) আর জো রুটের (৩৮ ন.আ) দুরন্ত ব্যাটিংয়ের সাহায্যে দু’উইকেট হারিয়েই তুলে নেন অ্যালিস্টার কুকরা। দু’ইনিংস মিলিয়ে ফিন নেন আট উইকেট।
মাত্র ১২১ রানের টার্গেট রাখার পরও অনেক অজি সমর্থকই ভেবেছিলেন ম্যাচ এখনও মাইকেল ক্লাকর্দের হাতছাড়া হয়নি। তাও পিটার নেভিল (৫৯) ও মিচেল স্টার্কের (৫৮) হাফসেঞ্চুরি না হলে অনেক আগেই শেষ হয়ে যেত অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। তবু লর্ডস টেস্টেই দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডকে ১০৩ রানে থামিয়ে দেওয়ায় কিছুটা হলেও এই টেস্টে আশার আলো ছিল অজি সমর্থকদের। কিন্তু অজিদের আর সুযোগ দেননি বেল ও রুট। লর্ডসে দ্বিতীয় টেস্টে হারের পরই এ ভাবে সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানো নিয়ে উচ্ছ্বসিত ইংল্যান্ড ক্যাপ্টেন কুক। ম্যাচের পর তিনি বলে দেন, ‘‘এই টেস্টে উঠে দাঁড়ানো নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছিল। টসে হারটা আমাদের পক্ষে ভালই হল। দুরন্ত বোলিং করেছে জিমি ও ফিন। তার উপর দর্শকদের সমর্থন তো আছেই।’’
জেমস অ্যান্ডারসনের প্রথম ইনিংসে ৪৭ রানে ছ’উইকেটের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ১৩৬ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল অজিরা। ইংল্যান্ড যার জবাবে প্রথম ইনিংসে তুলেছিল ২৮১ রান। দুই ইংরেজ বোলার দুরন্ত বোলিং করলেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচের সেরা বেছে নেওয়া হয় ফিনকে।