মহড়া: শনিবার অনুশীলনে ইংল্যান্ডের বিস্ময় প্রতিভা জ্যাডন স্যাঞ্চো (ডান দিকে)। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
অবশেষে আজ, রবিবার সল্টলেক স্টেডিয়াম সাক্ষী থাকবে ফুটবল মহাযজ্ঞের। অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ। যে মহাযজ্ঞ শুরু হবে চিলে বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে।
বিশ্বকাপের জন্য চেহারাই বদলে গিয়েছে যুবভারতী স্টেডিয়ামের। আসন সংখ্যা হয়তো কমেছে, কিন্তু চাকচিক্য, জাঁকজমকে নতুন ভাবে ফুটে উঠেছে এই স্টেডিয়াম। যেখানে প্রথম দিনেই দেখা যাবে চার ফেভারিটের লড়াই— চিলে বনাম ইংল্যান্ডের পরে মেক্সিকো বনাম ইরাক।
প্রথম ম্যাচে চিলের বিরুদ্ধে অবশ্যই ফেভারিট ইংল্যান্ড। স্টিভ কুপারের কোচিংয়ে ইংল্যান্ড এ বারের বিশ্বকাপে অন্যতম বড় ফেভারিট। গ্রুপ লিগে ইংল্যান্ডের শক্তি আরও বেড়েছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের জ্যাডন স্যাঞ্চো দলে থাকায়। সঙ্গে রয়েছে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের অ্যাঞ্জেল গোমেস। এদের সঙ্গে ফিল ফোডেন থাকায় ইংল্যান্ডের আক্রমণ আরও জোরদার হয়েছে। এই ত্রয়ীকে কতটা সামলাতে পারে চিলের ডিফেন্স, এখন সেটাই দেখার।
চিলের সামনে আরও একটা সমস্যা কলকাতার গরম। গত কয়েক দিন এখানে অনুশীলন করার পরে গরমে রীতিমতো কাহিল হয়ে পড়ে চিলের ফুটবলাররা। দলের সঙ্গে আসা চিকিৎসক জানিয়েছেন, সারাক্ষণ নজর রাখা হচ্ছে ফুটবলারদের ওপর।
রবিবারের পরের ম্যাচে দু’বারের চ্যাম্পিয়ন মেক্সিকোর সামনে ইরাকের চ্যালেঞ্জ। মেক্সিকো ফেভারিট হলেও ইরাককে সামলানো কিন্তু সহজ হবে না। ২০১৬ অনূর্ধ্ব-১৬ এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ইরানকে হারিয়ে বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা পায় ইরাক। ইরাককে যে হাল্কা ভাবে নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই, সেটা বুঝিয়ে দিয়েছে মেক্সিকো। তাদের প্রধান কোচ মারিও আর্তেগা বলেছেন, ‘‘আমরা কিছু ফুটবলার বদলেছি। আমরা এই বিশ্বকাপটা জিততেই এসেছি। ভারত থেকে ইতিহাস তৈরি করে ফিরতে চাই আমরা। তবে কাউকে হাল্কা ভাবে নেওয়ার প্রশ্ন নেই।’’