'আমনার বিপক্ষে দু’টো গোলও কিন্তু করেছি', বললেন ডিকা

তাঁকে বলা হচ্ছে সাম্প্রতিককালে ভারতে খেলা অন্যতম সফল বিদেশি স্ট্রাইকার। যে ক্লাবেই খেলছেন, সেখানেই সর্বোচ্চ গোলদাতা। গতবার আই লিগে লাজং এফসি-র হয়ে সোনার বুট পেয়েছেন। এ বারও কলকাতায় সব বিদেশিকে টপকে সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে চলেছেন। মহমেডানের হয়ে চার গোল করার পরের দিন পিয়েরিক দিপান্দা ডিকা মুখোমুখি আনন্দবাজার-এর। তাঁকে বলা হচ্ছে সাম্প্রতিককালে ভারতে খেলা অন্যতম সফল বিদেশি স্ট্রাইকার। যে ক্লাবেই খেলছেন, সেখানেই সর্বোচ্চ গোলদাতা। গতবার আই লিগে লাজং এফসি-র হয়ে সোনার বুট পেয়েছেন। এ বারও কলকাতায় সব বিদেশিকে টপকে সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে চলেছেন। মহমেডানের হয়ে চার গোল করার পরের দিন পিয়েরিক দিপান্দা ডিকা মুখোমুখি আনন্দবাজার-এর।

Advertisement

রতন চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৫:২০
Share:

অস্ত্র: মহমেডানের প্রধান ভরসা দিপান্দা ডিকা। ফাইল চিত্র

প্রশ্ন: হ্যাটট্রিক-সহ চার গোল করার পর রাইফেল চালানোর ভঙ্গিতে মাঠে সেলিব্রেশন করেছিলেন। বুধবার রাতের উৎসবটা কেমন হল?

Advertisement

ডিকা: সেলিব্রেশন! কীসের? এখনও তো দুটো ম্যাচ বাকি। তার মধ্যে একটা আবার ডার্বি। খেতাব না পেলেও সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে ইস্টবেঙ্গলকে হারাতেই হবে। মোহনবাগান ম্যাচে জিতিনি। গোলও করতে পারিনি। মনটা খুব খারাপ ছিল। প্রচুর সমালোচনা হচ্ছিল। ম্যাচে তো হার বা জিত থাকবেই। তবে এটা ঠিক বুধবার মাঠে যাওয়ার আগে বান্ধবী জর্জিয়াকে বলেছিলাম, আজ জিতলে তোমাকে রেস্তোরাঁয় ডিনারে নিয়ে যাব। সেই কথাটা রেখেছি।

প্র: উৎসবটা তা হলে শনিবার রাতের পর করতে চান ইস্টবেঙ্গলকে হারানোর পর?

Advertisement

ডিকা: আগে তো হারাই। ইস্টবেঙ্গল খুব ভাল টিম। ওদের টিমে আল আমনা, কার্লাইল মিচেলের মতো ফুটবলার আছে। আল আমনাই ওদের প্রধান অস্ত্র। ওঁকে তো এ বার নিয়ে তিন বছর দেখছি। খুব ভাল ফুটবলার। ভাল লিডার।

প্র: ইস্টবেঙ্গলের আল আমনাকেই তা হলে সব চেয়ে বেশি ভয় পাচ্ছেন? খালিদ জামিল আপনাকে আটকানোর জন্য যদি ওকেই ব্যবহার করেন?

ডিকা: ভয় পাব কেন? আমনার বিরুদ্ধে আমি তিনটে ম্যাচ খেলেছি। দুটো গোল করেছি। পুণের ডিএসকে শিবাজিয়ান্সে যখন খেলতাম আমনা তখন গোয়ার স্পোর্টিং ক্লুব দ্য গোয়ায় খেলত। সেবারও গোল করেছিলাম। গতবারও আইজলের বিরুদ্ধে গোল আছে আমার। আমনা সেই দলেও ছিল।

প্র: আমনাদের ক’টা ম্যাচ দেখেছেন? ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্স ভাঙতে পারবেন?

ডিকা: খেলা দেখাই আমার নেশা। কলকাতা লিগের সব ম্যাচ দেখছি। ইস্টবেঙ্গলেরও। যে ম্যাচটায় ওদের স্টপার মিচেল জোড়া গোল করেছিল সেটাও। ওদের রক্ষণ কেমন সেটা বলে কারও সুবিধা করে দিতে চাই না। তবে এটুকু বলছি, ওদের ডিফেন্স ভাঙা যায়। গোলও করা যায়।

প্র: কলকাতা লিগের পরই আই লিগে জার্সি বদলাবেন। যে দলে যাবেন, সেই মোহনবাগান সমর্থকেরা কিন্তু তাকিয়ে আপনার দিকে। ইস্টবেঙ্গলকে হারালেই খেতাবের অনেক কাছে পৌঁছবে মোহনবাগান।

ডিকা: মোহনবাগান নিয়ে একটা কথাও বলব না। বেকবাগানের ফ্ল্যাট বদলে যখন অন্য ফ্ল্যাটে যাব, তখন মোহনবাগান নিয়ে বলব। আমি এখন মহমেডানের ফুটবলার। এই টিমের জয় নিয়েই ভাবছি। কার কোথায় সুবিধে বা অসুবিধে হল, সেটা মাথায় রাখছি না।

প্র: শুনলাম বৃহস্পতিবার সকালে অনুশীলনের পর রেল ম্যাচের সেরার পুরস্কারের টাকায় সবাইকে খাইয়েছেন?

ডিকা: এটা এমন কিছু নয়। সবাই মিলে জেতার আনন্দ করেছি। সবাই ভাল না খেললে, মাঝমাঠ থেকে ভাল পাস না পেলে কি চার গোল করতে পারতাম? মহমেডানও কি ছয় গোলে জিতত?

প্র: শিলংয়ে গতবার সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন। কিন্তু খেতাব পাননি। এ বারও মহমেডানে একই অবস্থা! একাই ১০ গোল করেছেন ট্রফি কিন্তু নেই।

ডিকা: আমার দুর্ভাগ্য। আমি তো আমার কাজটা করেছি। এই মরসুমে এখনও সুযোগ আছে আই লিগে।

প্র: অনুশীলন বা ম্যাচের বাইরে বাকি সময়টা কী ভাবে কাটান? আপনার নাকি ময়দানে কোনও বন্ধু নেই!

ডিকা: চারটে কাজ করি। ঈশ্বরের কাছে ভাল থাকার প্রার্থনা করি। রান্না করি। টম্যাটো দিয়ে চিকেন ফ্রায়েড রাইস আমার খুব প্রিয়। সিনেমা দেখি না। ঘরের টিভিতে শুধু ফুটবল চলে। আর মাঝে মধ্যে গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে শপিং মলে যাই। এমনিতে আমি খেলা বা অনুশীলন না থাকলে বাইরে বেরোই না।

প্র: আপনার প্রিয় টিম কী? প্রিয় ফুটবলার?

ডিকা: বার্সেলোনা। তবে মঙ্গলবার রাতে মেসির গোলগুলো দেখতে পাইনি। পরের দিন রেল ম্যাচ ছিল বলে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। প্রিয় ফুটবলার আমার দেশ ক্যামেরুনের স্যামুয়েল এটো। আমার আদর্শ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন