সাংহাইতে আটকে ভারতীয় দল। অভিনব সমস্যায় কোচ-অধিনায়ক।
এশিয়াডগামী সুনীল ছেত্রীদের বিমানের টিকিট বাতিল করে দিল ফেডারেশন। তাঁদের আরও দু’দিন সাংহাইতে থেকে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হল। বলা হল, অপেক্ষা করতে। ফলে উইম কোভারম্যান্সের ভারতের এশিয়াডে যাওয়া নিয়ে অভূতপূর্ব পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে আটকে রয়েছে বেমবেম দেবীদের মহিলা ফুটবল দলও। কেউ জানে না আদৌ ভারতীয় ফুটবল দল দক্ষিণ কোরিয়া যেতে পারবে কি না? রাতের খবর, মঙ্গলবার সরকারের সিদ্ধান্ত জানা যেতে পারে।
এ দিনই সুনীল-বেমবেমদের পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল ইনচিওনের গেমস ভিলেজে। দু’মাস আগে বিমানের টিকিটও কেটে রাখা হয়েছিল ভারতীয় ছেলে-মেয়েদের জন্য। কিন্তু সোমবার বিকেল পর্যন্ত ফেডারেশনের আবেদন পত্র পড়ে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর অফিসে। ছাড়পত্রও মেলেনি। ফুটবলের সঙ্গে আটকে রয়েছে টেবল টেনিস এবং হ্যান্ডবল দলের ছাড়পত্রও।
এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ফেডারেশন কর্তাদেরই। এশিয়াডের ভিলেজ খুলে যাচ্ছে। সুনীলদের প্রথম খেলা ১৪ সেপ্টেম্বর। দিল্লিতে ফোন করে জানা গেল, ফেডারেশন ঠিক করেছিল সরকার দল না পাঠালে তারাই দল পাঠাবে। খরচ ধরা হয়েছিল এক কোটি দশ লাখ টাকা। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি তাতে টিকিট বাতিলের পর সেই খরচ দাঁড়াবে এক কোটি আশি লাখের মতো। ফেডারেশন অন্তত হিসাব করে সেটাই দেখছে। এর পরও একাধিক সমস্যা আছে। সাংহাই থেকে এখন যে বিমানের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে তাতে দক্ষিণ কোরিয়া পৌঁছতে প্রায় তিরিশ-চল্লিশ ঘণ্টা লেগে যেতে পারে। তা-ও একই বিমানে ৫০ জনের টিকিট পাওয়া সম্ভব নয়। ফলে তিন-চারটি বিমানে ভাগ করে যেতে হবে দু’টি টিমকে। সরাসরি বিমানের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। তবে তার থেকেও বড় একটা সমস্যা রয়েছে। তা হল, কোভারম্যান্স ও তরুণ রায়ের টিমের ফুটবলারদের এন্ট্রি কার্ড পড়ে রয়েছে দিল্লির আইওএ দফতরে। ওটা না হলে কিন্তু ভিসা পাবেন না কোভারম্যান্সের ছেলেরা।
এ দিকে, ভারতীয় দলের টিডি রব বান ফেডারেশনকে জানিয়ে দিলেন তিনি অসুস্থ। তাঁর পক্ষে ৩১ ডিসেম্বরের পর আর ভারতে থাকা সম্ভব নয়। তাঁর জায়গায় কোভারম্যান্সকে আনা হবে কি না তা অবশ্য বলতে চাননি ফেডারেশন সচিব কুশল দাস। ম্যাঞ্চেস্টারে একটি সেমিনারে যোগ দিতে যাওয়ার আগে তিনি বললেন, “অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের জন্য একটা রূপরেখা তৈরি করে দিয়ে যাচ্ছেন রব বান। উনি চলে গেলেও প্রয়োজনে সাহায্য করবেন বলেছেন।” কুশলবাবু জানিয়ে দেন, এশিয়াডের পর কোভারম্যান্সকে রাখা হবে কি না তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সেটা ঠিক করবে ফেডারেশনের টেকনিক্যাল কমিটি।