কুয়েভাকে সান্ত্বনা সতীর্থের। ছবি: এএফপি।
হতাশা, যন্ত্রণা, আফশোস মিলেমিশে যাচ্ছে। তিন যুগ পরে বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার সুযোগ মিলেছে। আর প্রথম ম্যাচেই হার। তবে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে পরাজয় সবচেয়ে হতাশ ক্রিশ্চিয়ান কুয়েভা। পেনাল্টি নষ্ট করেছেন যে!
শুধু নষ্টই নয়। বিরতির ঠিক আগে তাঁর নেওয়া শট পোস্টের মাইলখানেক ওপর দিয়ে উড়ে গিয়েছে। হার এজন্যই রক্তাক্ত করছে তাঁকে। কুয়েভা মেনেও নিচ্ছেন ভুল। নিজের মনেই গজরাচ্ছেন, “বড় ভুল করে ফেলেছি। বড় ভুল করে ফেলেছি।”
সারানস্কের মোরডোভিয়া এরিনাতে বিরতির সময়ই চোখ ছলছল করছিল কুয়েভার। ঘাসে শুয়েই পড়েছিলেন অবসাদে। সতীর্থরা সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছিলেন। সেই মন খারাপের রেশ আর কাটছে না। কুয়েভার কথায়, “ফুটবল এমনই। এর মধ্যেও আমাকে শক্ত থাকতে হবে। মাথা উঁচু রাখতে হবে। যত দুঃখেরই হোক না কেন, পেনাল্টি নষ্টও ফুটবলের স্বাভাবিক ঘটনা, সেটা মাথায় রাখতে হবে। দ্বিতীয়ার্ধে আমি জ্বলন্ত রাগ নিয়ে নেমেছিলাম। সঙ্গে দায়িত্বও ছিল। ছিল জিতে মাঠ ছাড়ার তাগিদ। কিন্তু, তা পারিনি। এখন খাটাখাটনি দ্বিগুণ করে দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। আর আমি কিন্তু সর্বস্ব উজাড় করে দিতেই দেশের জার্সিতে নামি।” নিজেকেই যেন বোঝাচ্ছেন তিনি।
পেনাল্টি নষ্টের পর হতাশ কুয়েভা। ছবি: এএফপি।
পেরুর সমর্থকরা অবশ্য কিছুটা প্রলেপ দিয়েছেন ক্ষতে। ডেনমার্কের বিরুদ্ধে পরাজয়ের পরও কুয়েভার নামে উঠেছে চিত্কার। যা কিছুটা স্বস্তি এনেছে। তবে সান্ত্বনার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হয়ে উঠছেন লিওনেল মেসি। একই দিনে কয়েক ঘণ্টা আগে আর্জন্তিনার অধিনায়কও তো পেনাল্টি নষ্ট করেছেন আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে। কুয়েভার কথায়, “বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলারও পেনাল্টিতে গোল করতে পারেননি। আমি নিজেই এটা দেখেছি। দায়িত্ববোধ থেকেই মারতে গিয়েছিলাম পেনাল্টি। এখন আমি শুধু ভুল শুধরানোর চেষ্টা করতে পারি।”
আরও পড়ুনঃ ‘কেউ ভাবতেও পারেননি, নেমাররাও এ ভাবে মুখ থুবড়ে পড়বেন’
মেসির পেনাল্টি নষ্টও যেন হয়ে উঠছে কুয়েভার যন্ত্রণার ওষুধ!