Chemicals in Food Chain

রোজের কিছু খাবারের কারণে বাড়ছে ক্যানসার, বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি! কোনটি থেকে কী রাসায়নিক ঢুকছে শরীরে?

খাবারে রাসায়নিকের আধিক্য নিয়ে চিন্তিত গবেষক মহল। সম্প্রতি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, খাবারদাবার থেকে এমন কিছু রাসায়িক ঢুকছে শরীরে, যা ক্যানসার ও বন্ধ্যত্বের কারণ হয়ে উঠছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:২৯
Share:

রোজের কোন খাবার ক্যানসার, বন্ধ্যত্বের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে? ফাইল চিত্র।

বার্গার বা পিৎজ়া দেখলে লোভ সামলানো দায়। স্বাস্থ্যকর ভেবে যে প্যাকেটজাত ফলের রস বা দই নিজে খাচ্ছেন বা শিশুকে দিচ্ছেন, তা কি আদৌ স্বাস্থ্যসম্মত? সকাল থেকে রাত অবধি, যা যা খাওয়া হচ্ছে, তার অধিকাংশই প্যাকেটজাত অথবা প্রক্রিয়াকরণে তৈরি। সে চাল, ডাল হোক বা বিস্কুট, কুকি বা জাঙ্ক ফুড। এই সবই ক্যানসার বা প্রজনন ক্ষমতা হ্রাসের কারণ হয়ে উঠছে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, রোজের খাবারদাবার থেকেই বিষ ঢুকছে শরীরে। এমন কিছু রাসায়নিক জমা হচ্ছে রক্তে, যাকে প্রতিরোধ করা দুঃসাধ্য হয়ে উঠছে।

Advertisement

থ্যালেট, বিসফেনল, পিএফএসের মতো কিছু রাসায়নিকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে গবেষণাপত্রে, যা শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। কোথায় থাকে এই সব রাসায়নিক? গবেষকেরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ প্যাকেটজাত খাবারে নানা ধরনের প্রি‌জ়ারভেটিভ এবং অ্যাডিটিভ থাকে, যার মধ্যে এই সব রাসায়নিকের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। যেমন, চকোলেট, বিস্কুট, কুকি, বোতলবন্দি ফলের রস, ইনস্ট্যান্ট নুড্‌ল, ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল, সসের মধ্যে থাকে সোডিয়াম নাইট্রাইট যা ক্যানসার, মস্তিষ্কের সচলতা হ্রাস, স্নায়বিক সমস্যা ইত্যাদি ঘটাতে পারে।

ফ্রোজ়েন মাংস বা ভাজাভুজি প্রায়ই দোকান থেকে কেনা হয়। অনলাইনে অর্ডার দিলে বাড়িতে চলে আসে। এগুলিকে দীর্ঘ দিন সংরক্ষণের জন্য মেশানো হয় এন-নাইট্রাসো যৌগ, যা কোলন ও পাকস্থলীর ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। ডায়েট সোডা, জিরো ক্যালোরি পানীয়, চিউইংগামে এমন রাসায়নিক থাকে, যা মূত্রথলির ক্যানসারের কারণ হতে পারে। খাবার প্যাকেটবন্দি করা ও সংরক্ষণের জন্যও কিছু রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, যার মধ্যে ‘বিসফেনল এ’ বা ‘বিপিএ’-র মতো রাসায়নিক পাওয়া গিয়েছে, যা রক্তে মিশলে কিডনির সমস্যা তৈরি হতে পারে। সমস্যা হতে পারে প্রজননেও। আবার রোস্ট করা খাবার বা উচ্চ তাপমাত্রায় ভাজা খাবারে থাকে অ্যাক্রিলামাইড যৌগ, যা ডিএনএ-র ক্ষতি করে। এই রাসায়নিক বেশি পরিমাণে রক্তে জমলে প্রজনন ক্ষমতা হ্রাসের ঝুঁকি কয়েক গুণ বেড়ে যেতে পারে।

Advertisement

গবেষকেরা বলছেন, প্যাকেটজাত খাবার পুরোপুরি বর্জন করার চেষ্টা করতে হবে। মুড়ি, চিঁড়ে, খই, সুজি, ছাতু, ছোলা, বাদাম জাতীয় খাবারে ফিরে যেতে পারলে সবচেয়ে ভাল। শিশুদের খাদ্যাভ্যাস বদলানোর দিকে জোর দিতে হবে। টিফিনে বাড়ির তৈরি খাবারই দিতে হবে। নামী ব্র্যান্ড দেখেও কেক, বিস্কুট, প্যাটিস বেশি কিনে খেলে তা ক্ষতির কারণ হয়ে উঠবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement