হাতে বল নিয়ে মাঠে নামছে ঋষি। সোমবার সোচিতে বেলজিয়াম-পানামা ম্যাচে। ছবি টুইটারের সৌজন্যে।
বয়স মাত্র দশ। আর এই বয়সেই ইতিহাসে ঋষি তেজ। প্রথম ভারতীয় হিসেবে বিশ্বকাপে ‘বল বয়’ হল সে। সোচিতে সোমবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে এই ভূমিকায় দেখা গেল বেঙ্গালুরুর ছেলেকে। ফিশট স্টেডিয়ামে বেলজিয়াম-পানামা ম্যাচ শুরুর আগে মাঠে বল নিয়ে ঢুকল সে।
শুক্রবার আর এক জন ভারতীয়কে দেখা যাবে মাঠে বল নিয়ে যেতে। সেটাও ব্রাজিল-কোস্টা রিকা ম্যাচে। নেমারদের সঙ্গে বল নিয়ে যাবে ১১ বছর বয়সি তামিলনাড়ুর নাথানিয়া। ৫০জন ছেলেকে টপকে, নিজের ফুটবলস্কিলে সবাইকে মুগ্ধ করে এই সুযোগ পেয়েছে সে। একমাত্র বালিকা হিসেবে বিশ্বকাপে এই ভূমিকায় দেখা যাবে নাথানিয়াকে।
আরও পড়ুনঃ দীর্ঘ আট বছর পর বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ জিতল ইংল্যান্ড, নায়ক হ্যারি কেন
রাশিয়া বিশ্বকাপের ‘অফিসিয়াল ম্যাচ বল ক্যারিয়ার্স’ বা ‘ওএমবিসি’ হিসেবে ভারত থেকে এই দু’জনই সুযোগ পেয়েছে বিশ্বকাপে। ফিফার প্রোগ্রাম অনুসারে বিভিন্ন দেশের মোট ৬৪ জন স্কুলপড়ুয়া এই সুযোগ পাচ্ছে। রওনা হওয়ার আগে নিদ্রাহীন রাত কাটিয়েছে ঋষি। নাথানিয়াও উত্তেজিত ছিল। কিন্তু ঘুম উড়ে যায়নি।
‘বল বয়’ হিসেবে বেলজিয়াম ম্যাচের পর ঋষি বলেছে, “খুব উত্তেজিত আমি। আপনারা কেউ ভাবতেই পারবেন না তা। মনে হচ্ছে যেন দিবাস্বপ্ন দেখছি। আমি প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করতে চাই। ম্যাচ চলাকালীন আমি অবশ্য বিশ্লেষণ করছিলাম ওদের খেলা।”
আরও পড়ুনঃ প্রযুক্তি থাকতেও কেন আবেদনে সাড়া নয়! প্রশ্নের মুখে ‘ভার’
আর নাথানিয়া রওনা হওয়ার আগে বলেছে, “আমাদের একটা ভিডিয়ো আপলোড করতে হবে। যাতে ৩০ সেকেন্ড ধরে আমাদের দেখানো হবে। ১৫০০ থেকে বেছে নেওয়া হয়েছিল ৫০ জনকে। তার পর সেটা ছ’জনে দাঁড়ায়। আর শেষ পর্যন্ত প্রথম দুইয়ে চলে এসেছি। মাঠে হাঁটার ভাবনা আমাকে খুব বেশি প্রভাবিত করছে না। তবে উত্তেজিত অবশ্যই। জানি না, ফুটবলারদের অটোগ্রাফ পাব কি না। তবে এই মুহূর্ত সব সময় মনে থাকবে আমার।”