কলকাতা পর্ব জমিয়ে দেবো: অক্ষয় কুমার

ঘড়ির কাঁটায় ঠিক সন্ধে ৭-৩০। তখনই কবাডির ম্যাটে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া এক ডজন অধিনায়কের সঙ্গে দেখা দিলেন তিনি। গ্যালারিতে তখন তারস্বরে শুরু হয়েছে স্যা-চি-ন, স্যা-চি-ন চিৎকার।

Advertisement

দেবাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৭ ০৩:৫৮
Share:

স্টেডিয়ামের বাইরে লম্বা সর্পিল লাইন। আর স্টেডিয়ামের ভিতর গমগমে সাউন্ড সিস্টেম আর সাইকেডেলিক আলো ও লেসার রশ্মির দৌরাত্ম্য। সঙ্গে সচিন তেন্ডুলকর, অক্ষয় কুমার, চিরঞ্জীবীদের উপস্থিতি। সব মিলিয়ে দর্শক ঠাসা গাচ্চিবউলি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ঝলমলে উদ্বোধন হয়ে গেল প্রো-কবাডির পঞ্চম সংস্করণের।

Advertisement

ঘড়ির কাঁটায় ঠিক সন্ধে ৭-৩০। তখনই কবাডির ম্যাটে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া এক ডজন অধিনায়কের সঙ্গে দেখা দিলেন তিনি। গ্যালারিতে তখন তারস্বরে শুরু হয়েছে স্যা-চি-ন, স্যা-চি-ন চিৎকার। তার পরেই শুক্রবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হাতে মাইক্রোফেন তুলে নিয়ে বলে দিলেন, ‘‘ছোট বেলায় স্কুলে অনেকবার কবাডি খেলেছি। খেলাটা শক্তিবৃদ্ধির সঙ্গে রিফ্লেক্স এবং ক্ষিপ্রতা বাড়ায়।’’ তার পরেই লিটল মাস্টার গ্যালারির দিকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘‘যারা এখনও আমার মতো স্কুলে কবাডি খেলো, তারা নিজেরা আরও বেশি করে খেলো। আর যে বন্ধু খেলতে চায় না। তাকেও কবাডির ম্যাটে টেনে আনো। আর যাঁরা বড় হয়ে গিয়েছেন, তাঁরা কিন্তু শুধু খেলাটাই দেখবেন না। যাঁরা এই টুর্নামেন্টে খেলছেন, সবাই দেশের হয়ে ঘাম-রক্ত ঝরান।দেশের জন্য ওঁদের এই দায়বদ্ধতাকেও স্যালুট করুন।’’

তেলুগু সিনেমা ও বলিউডের তারকা চিরঞ্জীবী-কে সঙ্গে নিয়ে সচিন যখন এ কথা বলছেন, তখনই সাদা কোচ-প্যান্ট পরে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে অনুষ্ঠান শুরু করতে ঢুকে পড়েছেন অক্ষয় কুমার। অক্ষয়কে দেখেই মাইক তাঁর হাতে দিয়ে সোজা ভিআইপি গ্যালারিতে গিয়ে বসলেন সচিন। ম্যাটের পাশে তখন এসে দাঁড়িয়েছে তাঁর টিম তামিল থালাইভাস। সে দিকে হাত নেড়ে উৎসাহ দিতেই অক্ষয় শুরু করে দিলেন জনগণমন।

Advertisement

তারকা: প্রো কবাডির উদ্বোধনে সচিন তেন্ডুলকর এবং চিরঞ্জীবী। শুক্রবার হায়দরাবাদে। —নিজস্ব চিত্র।

জাতীয় সঙ্গীত শেষ করে বলিউডের ‘খিলাড়ি’ অভিনেতা সচিনের পাশেই গিয়ে বসার আগে বলে গেলেন, ‘‘সচিন, সৌরভরা এই দায়িত্ব পালন করেছে আমার আগেই। আজ সেই দলে আমিও ঢুকে পড়লাম। এ রকম অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সুযোগ পাওয়ার সম্মানটাই আলাদা।’’ একটু থেমে তার পর প্রতিযোগিতায় কলকাতার দল ‘বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স-এর অন্যতম মালিক বললেন, ‘‘বাবা এই খেলাটা ছোটবেলা শিখিয়েছিলেন। তখন খুব খেলতাম। এই খেলাটা আমাদের গোটা দেশে খেলে। এর সঙ্গে মাটির গন্ধ রয়েছে। আর সরঞ্জামের খরচও বেশি নয়। এশিয়ান গেমসে কবাডি সোনা দিয়েছে দেশকে। আগামী দিনে আরও নতুন খেলোয়াড় উঠে এসে সেই সোনার পদকের সংখ্যা বাড়াবে।’’

আরও পড়ুন:চিত্রা নিয়ে কেন্দ্রকে নির্দেশ কেরল হাইকোর্টের

তবে সচিন, অক্ষয় দু’জনে কবাডির ভূয়সী প্রশংসা করলেও মুম্বইকর সচিন নিজের টিমের খেলা দেখলেন শেষ পর্যন্ত বসে। ম্যাচে যদিও তাঁর টিম তামিল থালাইভাস বিপক্ষ তেলুগু টাইটান্সের কাছে হারল ২৭-৩২। তা সত্ত্বেও টিম মালিক স্টেডিয়াম ছাড়লেন খেলা শেষ হওয়ার পরেই।’’

আর অক্ষয়? তিনি অবশ্য মাঝপথেই উঠে যান। যাওয়ার আগে কলকাতার সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তাঁর মন্তব্য, ‘‘বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স-এর অন্যতম মালিক হয়েছি। কলকাতা খেলার শহর। কলকাতা পর্ব আমরা জমিয়ে দেব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন