জেএসসিএ স্টেডিয়ামের মাঠের মধ্যে ঢুকে পিচের ছবি তুলতে গিয়েই বাধা পেতে হল এক মাঠকর্মীর কাছ থেকে, ‘‘ছবি তুলবেন না। জিজ্ঞেস করে তুলুন।’’
শোনা গেল সকালে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফকেও ছবি তুলতে বাধা দেওয়া হয়েছে এ ভাবেই। তবু লুকিয়ে-চুরিয়ে দু-একটা ছবি তুলে তা-ই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিলেন অনেকে। আর তা-ই নিয়েই তুমুল বিতর্ক।
শুকনো খটখটে ন্যাড়া উইকেট বলতে যা বোঝায়, মঙ্গলবার জেএসসিএ-তে গিয়ে দেখা গেল ঠিক তাই। পিচের একদিকটা হাল্কা ঘাসের আভা, যতটুকু না রাখলে মাটি ধরে রাখা যাবে না, ততটুকুই। ম্যাচের দিন সকালে এমন উইকেটও থাকবে কি না, সন্দেহ আছে। জেএসসিএ-র এক কর্তা কথায় কথায় বলেই দিলেন, ‘‘আমাদের দলকে হোম অ্যাডভান্টেজ দেওয়ার জন্য যা করা দরকার, সেটাই হয়েছে। এতে অন্যায়ের কিছু নেই।’’
আরও পড়ুন: বিরাটরা কেন খারাপ পিচে খেলবে, প্রশ্ন দিলীপ দোশীর
এখানে স্থানীয় কিউরেটর শ্যামবাহাদুর সিংহ ছাড়াও পূর্বাঞ্চলীয় বোর্ড কিউরেটর আশিস ভৌমিকও রয়েছেন পিচ দেখাশোনার দায়িত্বে। মঙ্গলবার বিকেলে তাঁদের উইকেটের পাশে দাঁড়িয়ে বহুক্ষণ আলোচনা করতে দেখা যায়।
আশিসবাবু কোনও মন্তব্য করতে রাজি না হলেও শ্যামবাহাদুরের ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য, ‘‘কারও না কারও নির্দেশে তো তৈরি হয়েছেই এই উইকেট। তবে কার নির্দেশে, তা বলতে পারব না।’’ না বললেও ইঙ্গিতটা যে কাদের দিকে, বুঝতে সমস্যা হয় না। কিন্তু তিনি যে বলেছিলেন, এই টেস্ট পাঁচ দিন চলবে, তা মনে করিয়ে দিতে এ বার রাঁচী কিউরেটর একটু শুধরে নিয়ে বললেন, ‘‘সে তো ক্রিকেটারদের হাতে। তারা ধরে খেলতে পারলে ম্যাচ পাঁচ দিনই চলবে।’’