ম্যানি প্যাকিয়াও এবং ফ্লয়েড মেওয়েদার
একজন ৫৭টা লড়াই জিতেছেন। তার মধ্যে ৩৮টা নক আউট। দুনিয়ায় কাউকে পরোয়া করেন না। আটটি ভিন্ন ওজনের বিভাগে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। স্রেফ একটাই ভয়— শরীরে ছুঁচ যেন না ফোটে। তিনি ম্যানি প্যাকিয়াও। ফিলিপিন্সের আইকন বক্সার।
আর এক জন এখন পর্যন্ত রিংয়ে অপরাজিত। ৪৭টা লড়াইয়ের ২৬টাই জিতেছেন প্রতিদ্বন্দ্বীকে নক আউট করে। একাধিক গৃহবিবাদের ঘটনায় তাঁর ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জেল খেটেছেন। কিন্তু এ সব ঘটনাকে পাত্তা দিলে তো, তিনি— ফ্লয়েড মেওয়েদার জুনিয়র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বক্সিং হার্টথ্রব। যিনি গোটা কেরিয়ারে এই প্রথম মানছেন ম্যানি তাঁর মুখোমুখি হলে হারাতে পারেন। আর ঠিক সেটাই হচ্ছে শনিবারের বারবেলায়।
ম্যানি বনাম মেওয়েদার। যাকে বলা হচ্ছে শতকের সেরা লড়াই। শুধু জনপ্রিয়তার নিরিখে নয়, অর্থের দিক থেকেও। ফলাফল যাই হোক, দুই বক্সার সব মিলিয়ে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় দু’হাজার কোটি টাকা) আয় করবেন। সপ্তাহখানেক আগে যে যুদ্ধের হাজার খানেক টিকিট সাধারণ দর্শকের জন্য বিক্রি হওয়া শুরু হয়েছিল। ন্যূনতম টিকিটের দাম ছিল দেড় হাজার পাউন্ড (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় দেড় লক্ষ)। এক মিনিটও গেল না। টিকিট নিঃশেষ।
প্রায় দশ কোটি মানুষ নাকি অনেক আগেই দাবি জানিয়েছিলেন দুই বক্সারের রিংয়ে মুখোমুখি হওয়ার। ছ’বছর ধরে চেষ্টা করেও সেটা এত দিন করা যায়নি দু’পক্ষের কিছু বিষয়ে মতান্তর থাকায়। শেষ পর্যন্ত সব মিটে গেলে মাসতিনেক আগে থেকেই মহালড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন ‘মানি’ আর ‘প্যাকম্যান’। রিংয়ের বাইরের লড়াইটা সেখানেই শুরু।
তার পর কখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্যাকিয়াও জিম আর প্র্যাকটিসের কথা জানাচ্ছেন তো কখনও মেওয়েদার লড়াইয়ের প্রস্তুতিতে কুড়ুল দিয়ে কাঠ কাঠার ছবি পোস্ট করছেন। আটত্রিশের মেওয়েদার আর ছত্রিশের প্যাকাওয়ের লড়াইটা অবশ্য অনেক আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল— বাগযুদ্ধে।
লাস ভেগাসের এমজিএম এরিনায় নামার আগে মেওয়েদার বুধবার মোক্ষম একটা পাঞ্চও দিয়ে রেখেছেন ম্যানিকে। ‘‘ম্যানি যদি আমাদের টিমের হয়ে বক্সিং করত, অনেক বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারত। আর আমার কাছে শনিবারের লড়াইটা স্রেফ একটা কাজের দিনের মতো। যেটা আমি সবচেয়ে ভাল পারি, বক্সিং, সেটাই করব। ২০০ মিলিয়ন ডলার জিতব। মানে আমার প্রত্যেক বাচ্চার জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলার করে।’’ প্যাকম্যান এর জবাবটা মুখে দেবেন না রিংয়ে?