(বাঁ দিকে) লিয়োনেল মেসি এবং হ্যারল্ড টেরেন্স (ডান দিকে)। ছবি: এক্স।
ইচ্ছা থাকলেও এত দিন সুযোগ হয়নি। অবশেষে ১০২ বছর বয়সে প্রথম বার মাঠে বসে কোনও ফুটবল ম্যাচ দেখলেন হ্যারল্ড টেরেন্স। সম্প্রতি নাতি টাইলার টেরেন্সের সঙ্গে ইন্টার মায়ামির একটি ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। গ্যালারিতে বলে লিয়োনেল মেসির গোল দেখে উচ্ছ্বসিত শতায়ু টেরেন্স।
আমেরিকার বিমানবাহিনীর প্রাক্তন সদস্য টেরেন্স। মিত্রশক্তির হয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। অনেক দিন ধরে তাঁর ইচ্ছা ছিল মাঠে বসে ফুটবল ম্যাচ দেখবেন। কিন্তু নানা কারণে এত দিন সম্ভব হয়নি। কিছু দিন আগে নাতির সঙ্গে মায়ামির একটি ম্যাচ দেখেন। আমেরিকার একটি টেলিভিশন চ্যানেল ‘ইউএসএ টুডে’কে খেলার দেখার অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন টেরেন্স।
প্রাক্তন সেনা বলেছেন, ‘‘আমি আগে কখনও স্টেডিয়ামে বসে ফুটবল ম্যাচ দেখিনি। জীবনে প্রথম বার খেলা দেখলাম। মেসি বা অন্য কোনও ফুটবলারকে সামনে থেকে দেখিনি কখনও। টেলিভিশনে অনেক খেলাই দেখেছি। নাতি আমাকে প্রথম মাঠে নিয়ে এল খেলা দেখাতে।’’
মেসিকে কেমন লাগল আপনার? গ্যালারিতে বসে খেলা দেখার অভিজ্ঞতা কেমন? ১০২ বছরের টেরেন্স বলেছেন, ‘‘ফুটবল আমার ভালই লেগেছে। বলতে পারেন, খেলাটা পছন্দ করতে শুরু করেছি। তবে রোমাঞ্চিত নই।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘জীবনের প্রতিটি দিন এখন আমার কাছে নতুন অভিজ্ঞতার মতো। খেলা দেখে মনে হল, যেন নিজের যৌবনের বিশেষ বিশেষ মুহূর্ত দেখছি। নাতির জন্য আমি গর্বিত।’’
টেরেন্স রোমাঞ্চিত না হলেও দাদুর স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে পেরে উচ্ছ্বসিত টাইলার। পেশায় অ্যাপল টিভির ধারাভাষ্যকার টাইলার বলেছেন, ‘‘দাদুকে ফুটবল মাঠে পাওয়া আমার কাছে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর ঘটনাগুলোর মধ্যে একটা। দাদুর জন্যই আমার খেলাধুলোর প্রতি ভালবাসা। দাদুকে মাঠে পাওয়া আমার কাছে স্বপ্ন পূরণের মতো।’’
মেসির সঙ্গে আলাপ হয়নি প্রবীণ ফুটবলপ্রেমীর। মেসি হয়তো জানেনও না টেরেন্সের কথা। তবু নিজের অজান্তেই ১০২ বছরের এক ফুটপ্রেমীর আনন্দের কারণ হয়ে উঠেছেন। মেসিকে গোল করতে দেখা বাড়তি পাওনা বলেই মনে করছেন আমেরিকার বিমানবাহিনীর প্রাক্তন কর্পোরাল।