East Bengal vs Mohun Bagan

‘এক মাসেই অর্ধেক লিগ খেললাম’, ডার্বি হেরে ফুটবলারদের ক্লান্তিকে দুষলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ

রবিবার কলকাতা ডার্বির দ্বিতীয়ার্ধে ভাল ফুটবল খেললেও প্রথমার্ধে মোহনবাগানের সামনে আত্মসমর্পণ করেছে লাল-হলুদ। দলের খারাপ খেলার পিছনে ক্লান্তিকেই দুষলেন ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৪ ০১:১২
Share:

ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। ছবি: এক্স।

চলতি মরসুমে কলকাতা ডার্বিতে যে আধিপত্য ছিল ইস্টবেঙ্গলের, তা অনেকটাই খর্ব হয়েছে রবিবার। দ্বিতীয়ার্ধে ভাল ফুটবল খেললেও প্রথমার্ধে মোহনবাগানের সামনে আত্মসমর্পণ করেছে লাল-হলুদ। দলের খারাপ খেলার পিছনে ক্লান্তিকেই দুষলেন ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। টানা খেলে যাওয়াকেই দায়ী করলেন তিনি।

Advertisement

মোহনবাগান যেখানে ডার্বির আগে ১ মার্চ শেষ ম্যাচ খেলেছে, সেখানে ইস্টবেঙ্গল পর পর দু’টি অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলে এসেছে। কুয়াদ্রাত বলেছেন, “পরিস্থিতিকে মাথায় রাখতে হবে আমাদের। আধুনিক ফুটবলে জিপিএস এবং অন্যান্য প্রযুক্তি রয়েছে। সেটা বিশ্লেষণ করে দেখেছি, আমাদের ফুটবলারদের উপরে গত কয়েক মাসে অনেক ধকল গিয়েছে। গোয়ার বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে আমরা খেলতেই পারিনি। ফুটবলারেরা ক্লান্ত এবং বিধ্বস্ত। দুর্ভাগ্যবশত এই সূচিই আমাদের মেনে নিতে হবে।”

পাশাপাশি কুয়াদ্রাতের সাফাই, “গুরুত্বপূর্ণ সময়েই আমাদের ভাল ফুটবলারেরা চোট পেল। সাউল এত দিন বাইরে ছিল। হোসে পারদো ছিটকে গেল। ফুটবলারেরা ক্লান্ত হলে সেটা নিয়ে ভাবতেই হবে। তবে এই ম্যাচে পরিকল্পনা কাজে লাগিয়েছি আমরা। ওদের চাপে ফেলে পেনাল্টি আদায় করেছি। অনেক অর্ধেক সুযোগ পেয়েছি। তবে প্রথমে যে দুটো গোল খেলাম সেটা নিয়ে ভাবতে হবে আমাদের।”

Advertisement

পরিসংখ্যান তুলে ধরে কুয়াদ্রাত বলেছেন, “মোহনবাগানের ম্যাচের আগে তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখবেন, ওদের থেকে আমাদের খুব একটা ফারাক নেই। কিন্তু ওদের হাতে কামিংস, পেত্রাতোসের মতো ভাল গুণমানের ফুটবলার রয়েছে। তাই ওরা সাফল্য পাচ্ছে। আমাদের হাতেও সায়ন (বন্দ্যোপাধ্যায়) এবং (পিভি) বিষ্ণুর মতো ফুটবলার রয়েছে যাঁরা ভবিষ্যতের সম্বল।”

প্রথমার্ধে ক্লেটন সিলভা পেনাল্টিতে গোল করলে ম্যাচের ফল অন্য রকম হত বলে অনেকেই মনে করছেন। কুয়াদ্রাত পেনাল্টি নষ্টে খুব একটা হতাশ নন। বলেছেন, “ফুটবলে এমনটা হতেই পারে। হয়তো সেই সময় গোল পেলে ছন্দ চলে আসত। ক্লেটন এমনিতে পেনাল্টি ভালই মারে। কিন্তু আজ ওর পারফরম্যান্সে আমি খুশি। ও আমাদের অধিনায়ক। যথেষ্ট আস্থা রয়েছে। ফুটবলে এক-আধ দিন পেনাল্টি থেকে গোল না-ই হতে পারে। অনেকে তো ভেবেছিলেন আজ হয়তো ৫-০ হয়ে যাবে। দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সে তাদের খুশি হওয়ার কথা।”

মোহনবাগানের কাছে হারের পরেও প্লে-অফ নিয়ে আশাবাদী ইস্টবেঙ্গল কোচ। তাদের পরের খেলা ৩ এপ্রিল। মাঝে জাতীয় দলের খেলা রয়েছে। বিশ্রাম পেয়ে ছেলেরা শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবে বলে মনে করেন তিনি। বলেছেন, “প্লে-অফে যাওয়ার ব্যাপারে আমি আশাবাদী। প্রত্যেকেই নিজের সেরাটা দিচ্ছে। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে যেতে চাই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন