East Bengal vs Mohun Bagan

‘আরও বেশি গোলে জিততে পারতাম,’ মোহনবাগানকে হারিয়ে বলে দিলেন ইস্টবেঙ্গলের কোচ

সুপার কাপে মোহনবাগানকে হারিয়েও অদ্ভুত ভাবে শান্ত তিনি। শুক্রবার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে সবুজ-মেরুনকে হারানোর পর ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত জানিয়ে দিলেন, ম্যাচটা আরও বেশি গোলে জিততে পারতেন তাঁরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ ২৩:০৩
Share:

ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। ছবি: এক্স।

যে ইস্টবেঙ্গল কলকাতা ডার্বি গত কয়েক বছরে জিততেই ভুলে গিয়েছিল, সেই ইস্টবেঙ্গলই তাঁর হাত ধরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। গত তিনটি ডার্বির দু’টিতেই জিতেছে তারা। ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ওঠার পর এ বার সুপার কাপের সেমিফাইনালে উঠে গিয়েছে তারা। শুক্রবার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে মোহনবাগানকে হারানোর পর ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত জানিয়ে দিলেন, ম্যাচটা আরও বেশি গোলে জিততে পারতেন তাঁরা। সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি বলেই তা হয়নি।

Advertisement

জিতেও বাড়তি উচ্ছ্বাস নেই তাঁর মধ্যে। সাংবাদিক বৈঠকে শান্ত মেজাজেই এলেন তিনি। বললেন, “এই জয়ের পরে সমর্থক, ফুটবলার, সাপোর্ট স্টাফ সবার জন্যই আমি খুশি। ইস্টবেঙ্গল আবার লড়াকু দল হয়ে উঠেছে। অনেক দিন ধরেই এই ক্লাব কিছু জেতেনি। সমর্থকেরা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। গত কয়েক মাসে সেই আক্ষেপ কিছুটা হলেও মেটাতে পেরেছি। ডুরান্ড কাপের ফাইনালে উঠেছি। এ বার সুপার কাপের সেমিফাইনালে উঠলাম। ইস্টবেঙ্গল আবার ট্রফির জন্য লড়াই করছে। আরও উঁচুতে ওঠার চেষ্টা করছে। এটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

ডুরান্ডের সঙ্গে এই ডার্বি জয়কে মেলাতে চাননি কুয়াদ্রাত। বলেছেন, “যে কোনও ডার্বিতে জেতাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সব জয়ই সমান আনন্দ দেয়। ইস্টবেঙ্গলের কোচ হয়ে আসার পর সেই ডার্বির আগে শুনেছিলাম মোহনবাগান সমর্থকেরা বলেছে আমাদের ৫-০ গোলে হারাবে। জিততে পেরে শান্তি পেয়েছি। এই ডার্বি জয়ের আনন্দও একই রকম। এ বার অনেক পরিকল্পনা নিয়ে নেমেছিলাম। আগের থেকে বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারছি। আজ আরও বেশি গোলে জিততে পারতাম। সব কিছু আপাতত ঠিক দিকেই এগোচ্ছে।”

Advertisement

কত গোলে জেতা উচিত ছিল সে প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “মোহনবাগানও কিন্তু গোল করতে পারত। একটা পেনাল্টি নষ্ট করেছে ওরা। শেষ দিকে একটা ফ্রিকিক পেয়ে কাজে লাগাতে পারেনি। তবে আমার ছেলেদের স্পষ্ট একটা কথা বলে দিয়েছিলাম, মোহনবাগান খুব ভাল দল। অনেক ভাল ফুটবলার রয়েছে। আমাদের গা-ছাড়া মনোভাব দিলে একেবারেই চলবে না। বিরতিতেও ছেলেদের বলেছি, একটা গোলের তফাত যথেষ্ট নয়।”

আলাদা করে ডার্বির কোনও ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বেছে নিতে রাজি হলেন না কুয়াদ্রাত। বললেন, “আমরা গোল খেয়ে পিছিয়ে গিয়েছিলাম। তখন ছেলেদের বলেছিলাম, ঘাবড়ে যেয়ো না। ম্যাচে অনেক সময় রয়েছে। নিজেদের উপরে বিশ্বাস রাখো। তবু আমার মতে, প্রথমার্ধে গোল শোধ করে দেওয়াতে অনেকটা ভাল হয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে অনেকটা চাপমুক্ত হয়ে খেলতে পেরেছি।”

জোড়া গোলদাতা ক্লেটন সিলভার ব্যাপক প্রশংসা করেছেন কুয়াদ্রাত। বলেছেন, “ক্লেটনের মতো বুদ্ধিমান ফুটবলার খুব কমই দেখেছি। গোল করে ঠিকই। কিন্তু যে ম্যাচে গোল পায় না সেখানেও নিজের অবদান রাখে। আগের ম্যাচেও অ্যাসিস্ট করেছে। নীচে নেমে এসে আক্রমণ তৈরি করেছে। গোলের দিকে বল ভাসিয়ে দিয়েছে। ওকে নিয়ে আলাদা করে আর কী-ই বা বলার রয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন