India Super Leauge

আইএসএল নিয়ে ১১ ক্লাবের চিঠি ফেডারেশনকে, সই করল না ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান, কেন পিছিয়ে এল দুই ক্লাব?

আইএসএলের ক্লাবগুলোর সঙ্গে বৈঠকে প্রতিযোগিতা নিয়ে নির্দিষ্ট দিশা দেখাতে পারেননি এআইএফএফ সভাপতি কল্যাণ চৌবে। তার পরই ১১টা ক্লাব যৌথ ভাবে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আর্জি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২৫ ১১:৩৩
Share:

আইএসএল ট্রফি। —ফাইল চিত্র।

আইএসএল ঘিরে অনিশ্চয়তার ফলে উদ্বেগে ক্লাবগুলো। প্রতিযোগিতার ১১টা ক্লাব সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে (এআইএফএফ) চিঠি দিল। তাদের আবেদন, সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আর্জি জানানো হোক। সেই চিঠিতে সই করেনি কলকাতার দুই প্রধান ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান।

Advertisement

যা জানা গেল, কলকাতার দুই বড় ক্লাব আইনি লড়াইয়ে জড়াতে চায় না। মোহনবাগানের ক্ষেত্রে আরপিএসজি গ্রুপই হোক বা ইস্টবেঙ্গলের ক্ষেত্রে ইমামি— এই দুই কর্পোরেট সংস্থা ফেডারেশন-এফএসডিএল মামলায় কোনও ভাবেই পার্টি হতে চায় না। এই দুই সংস্থার বক্তব্য, তারা ফুটবলকে ভালবেসে আইএসএলে যুক্ত হয়েছে। তার সঙ্গে ব্যবসায়িক দিক তো অবশ্যই আছে। এর মধ্যে আদালত-মামলায় তারা নিজে থেকে ঢুকতে চায় না। আরও জানা গেল, ১১টি ক্লাব নয়, চিঠি দিয়েছে আটটি ক্লাব। চিঠিতে সই না-করা ক্লাবের তালিকায় নাকি বেঙ্গালুরু এফসি-ও আছে। এই ক্লাবটির মালিকানা জেএসডব্লিউ গ্রুপের হাতে। তারাও আপাতত আইনি জটিলতা থেকে দূরে থাকতে চাইছে।

গত বৃহস্পতিবার আইএসএলের ক্লাবগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন এআইএফএফ কর্তারা। বৈঠকে ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে আইএসএল নিয়ে নির্দিষ্ট দিশা দেখাতে পারেননি। তিনি জানিয়েছেন, আইএসএল কিছুটা দেরিতে শুরু হতে পারে। কয়েকটা জিনিস পরিবর্তন হতে পারে। ফরম্যাট বা অন্য কিছু বদল করা হতে পারে। এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আইএসএল শুরু হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় সেপ্টেম্বরে সুপার কাপ আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন কল্যাণ। এই বৈঠকের পরই আইএসএলের ১৩টা ক্লাবের মধ্যে ১১টা একসঙ্গে চিঠি দিয়েছে ফেডারেশনকে। ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান সেই চিঠিতে সই করেনি।

Advertisement

ফুটবল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (এফএসডিএল) এবং এআইএফএফের মধ্যে চুক্তি নবীকরণের সম্ভাবনা এখনও তৈরি হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে নতুন কমিটি গঠন হতে পারে ফেডারেশনের নতুন সংবিধান ঘোষণার পরে। সমস্যা মিটতে সেপ্টেম্বর মাস হয়ে যেতে পারে। এই সমস্যা দ্রুত মেটানোর জন্য ফেডারেশনকে উদ্যোগী হওয়ার অনুরোধ করেছে ক্লাবগুলো। দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানানোর কথা বলা হয়েছে।

এআইএফএফ সভাপতিকে ক্লাবগুলো সম্মিলিত ভাবে যে চিঠি দিয়েছে, তাতে লেখা হয়েছে, ‘‘ভারতীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক এআইএফএফের কাছে আমাদের বিনীত অনুরোধ, মামলার প্রধান পক্ষ হিসাবে বর্তমান পরিস্থিতিতে বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের নজরে আনার ব্যবস্থা করা হোক। আইএসএল-সহ অন্য প্রতিযোগিতাগুলোর স্বার্থে মামলাটাকে জরুরি তালিকাভুক্ত করে দ্রুত রায়দানের জন্য আদালতের কাছে আর্জি জানানো যেতে পারে। আমাদের বিশ্বাস এই ধরনের পদক্ষেপ আইনানুগ। আমরা মনে করি, এই পদক্ষেপ এআইএফএফ এবং ভারতীয় ফুটবলের সব পক্ষের জন্য সহায়ক হবে।’’

ক্লাব কর্তাদের একাংশ মনে করছেন, সমস্যা সমাধানে এআইএফএফ যথেষ্ট তৎপর নয়। এর ফলে সঙ্কট বৃদ্ধি পাচ্ছে আইএসএলের ক্লাবগুলোর। ওড়িশা এফসি, বেঙ্গালুরু এফসি, চেন্নাইয়িন এফসি খরচ বাঁচাতে ফুটবলার এবং কর্মীদের চুক্তি স্থগিত রেখেছে বা বেতন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement