FIFA 2030

ফুটবল বিশ্বকাপের শতবর্ষে বড় ভাবনা ফিফার, আরও বাড়তে পারে দেশের সংখ্যা, বৈঠক ট্রাম্প টাওয়ারে

২০৩০-এ ফুটবল বিশ্বকাপের শতবর্ষ পূর্ণ হবে। সেই উপলক্ষে বড় ভাবনা ভেবেছে ফিফা। ফুটবল বিশ্বকাপকে আরও বড় আকারে আয়োজন করতে চায় তারা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:২৭
Share:

ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফ্যান্টিনো। ছবি: সংগৃহীত।

পরের বছর আমেরিকা, মেক্সিকো এবং কানাডায় হবে ফুটবল বিশ্বকাপ। তারও চার বছর পর, অর্থাৎ ২০৩০ সালে মোট ছয়টি দেশ আয়োজন করবে এই প্রতিযোগিতা। ঘটনাচক্রে ২০৩০-এ ফুটবল বিশ্বকাপের শতবর্ষ পূর্ণ হবে। সেই উপলক্ষে বড় ভাবনা ভেবেছে ফিফা। ফুটবল বিশ্বকাপকে আরও বড় আকারে আয়োজন করতে চায় তারা।

Advertisement

১৯৩০ সালে উরুগুয়েতে হয়েছিল প্রথম বিশ্বকাপ। সেই দেশে ২০৩০ বিশ্বকাপের ম্যাচও হবে। পাশাপাশি আর্জেন্টিনা এবং প্যারাগুয়েতেও একটি করে ম্যাচ খেলা হবে। তবে বিশ্বকাপের মূল আয়োজক হিসেবে থাকছে স্পেন, মরক্কো এবং পর্তুগাল। অর্থাৎ মোট ছ`টি দেশে বিশ্বকাপ খেলা হবে।

পরের বছর ফুটবল বিশ্বকাপে ৩২-এর বদলে ৪৮টি দল খেলবে। ফিফা চাইছে দেশের সংখ্যা আরও বাড়াতে। তাদের ইচ্ছা, ২০৩০ সালে ফুটবল বিশ্বকাপের শতবর্ষে ৬৪টি দেশ খেলুক। সে ব্যাপারে আলোচনাও শুরু করেছে তারা। ‘দ্য অ্যাথলেটিক’-এর খবর অনুযায়ী, প্যারাগুয়ের প্রেসিডেন্ট সান্তিয়াগো পেনা, উরুগুয়ের ইয়ামান্দু ওরসি, আর্জেন্টিনার ক্লদিয়ো তাপিয়া, রবার্ট হ্যারিসন এবং নাচো আলোন্সো বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। আর্জেন্টিনার প্রধান জেভিয়ার মিলেইয়ের ফিফার বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি পারেননি। দেশের অর্থনীতির হাল শোধরাতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। ঘটনাচক্রে, ফিফার বৈঠকটি হয় ট্রাম্প টাওয়ারে। নিউ ইয়র্কে ফিফার সদর-দফতর এখানেই।

Advertisement

৬৪ দেশের ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তাব প্রথম দিয়েছে উরুগুয়ে। তাদের মতে, দেশের সংখ্যা বাড়ানো হলে ফুটবল বিশ্বকাপের শতবর্ষ সত্যি করেই উদযাপন করা যাবে। তবে এ ব্যাপারে বিভিন্ন দেশের মতামত চেয়েছে তারা। উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত ১৬ দেশের বিশ্বকাপ হত। ১৯৮২ সালে দেশের সংখ্যা বেড়ে ১৬ থেকে ২৪ হয়। ১৯৯৮ থেকে ৩২টি দেশ খেলার সুযোগ পায়। ২০২৬ সালে দেশের সংখ্যা বেড়ে ৩২ থেকে ৪৮ হচ্ছে। ফিফা যদি উরুগুয়ের প্রস্তাব মেনে নেয় তা হলে আরও বেড়ে যাবে দেশের সংখ্যা। সে ক্ষেত্রে ম্যাচের সংখ্যাও বাড়বে।

বিষয়টি অবশ্য এতটা সহজ নয়। উয়েফার প্রেসিডেন্ট এবং ফিফার ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার সেফেরিন অতীতে ৬৪টি দেশের বিশ্বকাপ আয়োজনের বিরোধিতা করেছেন। তাঁর মতে, এতে যোগ্যতাঅর্জন পর্ব নিয়ে খুবই সমস্যা তৈরি হবে। পাশাপাশি প্রতিযোগিতার মান নিয়েও প্রশ্ন দেখা দেবে। জানা গিয়েছে, আরও কিছু দেশ এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করবে। বেশি করে প্রতিবাদ করতে পারে ইউরোপের দেশগুলি, যে হেতু সেখানে ক্লাবের হয়ে ফুটবলারদের প্রচুর ম্যাচ খেলতে হয়। আপাতত প্রত্যেকেই ফিফার বার্তার অপেক্ষায় রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement