Neymar

ব্রাজিল জিতলেও যন্ত্রণায় চোখে জল নেমারের, কাতার বিশ্বকাপে তাঁকে কি আর দেখা যাবে?

বৃহস্পতিবার এ বারের বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ব্রাজিল। সার্বিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে দেয় তারা। সেই ম্যাচে নেমার গোল করতে না পারলেও আক্রমণে সাহায্য করছিলেন দলকে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২২ ০৯:৪৮
Share:

বিশ্বকাপে সার্বিয়া ম্যাচে চোটের সময় নেমার। ছবি: রয়টার্স

সার্বিয়ার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার খেলতে নেমেছিল ব্রাজিল। সেই ম্যাচে হলুদ জার্সিধারীরা ২-০ গোলে জিতলেও চোট পেলেন নেমার। তাঁর গোড়ালিতে চোট রয়েছে। যন্ত্রণায় চোখে জল চলে আসে তাঁর। এমন অবস্থায় বাকি বিশ্বকাপে নেমারকে পাওয়া যাবে কি না সেই আশঙ্কায় রয়েছেন সমর্থকরা। ব্রাজিল কোচ তিতে যদিও আত্মবিশ্বাসী যে, পরের ম্যাচে খেলতে পারবেন নেমার।

Advertisement

চোট পেয়ে ৮০ মিনিটের মাথায় মাঠ ছাড়েন নেমার। বেঞ্চে বসে পায়ে বরফ দিতে দেখা যায় তাঁকে। সার্বিয়ার নিকোলা মিলেনকোভিচ ট্যাকেল করেন নেমারকে। গোড়ালিতে চোট পান নেমার। পা ধরে যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখা যায় ব্রাজিলের অধিনায়ককে। বেঞ্চে বসে মুখ ঢেকে কাঁদতেও দেখা যায় নেমারকে। কোচ তিতে বলেন, “নেমারের পরের ম্যাচে খেলার ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী। বিশ্বকাপে খেলতে দেখা যাবে ওকে।” নেমার যে চোট পেয়েছেন তা প্রথমে বুঝতেই পারেননি তিতে। তিনি বলেন, “আমি বুঝতে পারিনি যে নেমারের চোট লেগেছে। ওর ক্ষমতা আছে এই চোট সারিয়ে ফেরার।”

ব্রাজিল দলের চিকিৎসক রড্রিগো লাসমার বলেন, “ডান গোড়ালিতে চোট রয়েছে নেমারের। সার্বিয়ার ফুটবলারের হাঁটুতে লেগে চোট পেয়েছে ও। বেঞ্চেই চিকিৎসা করা হয়েছে। ফিজ়িয়োর সঙ্গে রয়েছে ও। ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগবে নেমারের চোট কতটা সেটা বোঝার জন্য। এমআরআই করা হয়নি। শুক্রবার আরও এক বার দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখনই কোনও কিছু বলা সম্ভব নয়।”

Advertisement

পা ফুলে গিয়েছে নেমারের। ছবি: রয়টার্স

বিশ্বকাপে গ্রুপ জি-তে রয়েছে ব্রাজিল। বৃহস্পতিবার সার্বিয়াকে হারিয়ে ৩ পয়েন্ট তুলে নিয়েছে তারা। সোমবার তারা খেলবে সুইৎজ়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ক্যামেরুনকে হারিয়ে তারাও ৩ পয়েন্ট পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার নেমার ভাল খেললেও ব্রাজিল সমর্থকদের মন জয় করে নিয়েছেন রিচার্লিসন। তিনি বিশ্বকাপ শুরু করলেন দু’টি গোল দিয়ে। তার মধ্যে একটি গোল করলেন বাইসাকেল কিকে। রিচার্লিসন মুগ্ধ করে দিলেন ফুটবলপ্রেমীদের। তাঁর দ্বিতীয় গোল বুঝিয়ে দিল এই ব্রাজিল কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার ক্ষমতা রাখে। নেমার, রিচার্লিসন, ভিনিসিয়াস এবং রাফিনহাকে রেখে তৈরি তিতের আক্রমণভাগ যে পায়ের জঙ্গলের মধ্যে থেকেও ফাঁকা জমি বার করে নিতে পারে তা দেখিয়ে দিল রিচার্লিসনের গোল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন