সামুলি কুক্কোনেন। ছবি: এক্স।
খেলতে নামার আগে ‘ওয়ার্ম আপ’ করার সময় হঠাৎ মাঠে পড়ে যান সামুলি কুক্কোনেন। হৃদ্যন্ত্র বন্ধ হয়ে যায় তাঁর। সতীর্থেরা সিপিআর দিতে শুরু করেন। আসেন চিকিৎসকেরাও। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় বেঁচে গিয়েছেন তিনি। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসার অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন ফিনল্যান্ডের ফুটবলার।
কোনও রকম অসুস্থতা ছিল না কুক্কোনেনের। অতীতে কখনও হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা হয়নি তাঁর। খেলার আগে হঠাৎই সমস্যা হয়। সুস্থ হওয়ার পর নিজেই সেই ঘটনার কথা জানিয়েছেন ফিনল্যান্ডের দ্বিতীয় ডিভিশনে খেলা ২৭ বছরের ফুটবলার। ফিনিশ লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনের দল জার্ভেনপান পালোসেউরার কোচের দায়িত্বেও রয়েছেন কুক্কোনেন।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘ঠিক কী হয়েছিল, জানি না। চিকিৎসকেরাও নির্দিষ্ট করে কারণ বলতে পারেননি। শুনেছি, মাঠে পড়ে যাওয়ার কয়েক মিনিট পর সতীর্থেরা আমাকে খেয়াল করে। আমাকে নিথর ভাবে মাঠে পড়ে থাকতে দেখেছিল ওরা। মৃতের মতো। সতীর্থেরাই দ্রুত সিপিআর দিতে শুরু করে। ডাকা হয় অ্যাম্বুল্যান্স। প্রায় ১৫ মিনিট আমার হৃদযন্ত্র কাজ করেনি।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘সতীর্থেরা সিপিআর দেওয়ার মধ্যেই চিকিৎসকেরা চলে আসেন। তাঁরা দ্বিতীয় বার শক দেওয়ার পর আমার হৃদযন্ত্র আবার কাজ করতে শুরু করেছিল। জীবনযাপন সংক্রান্ত কোনও সমস্যা এটা নয়। আমি অত্যন্ত শৃঙ্খলার মধ্যে থাকি। কখনও কোনও সমস্যা ছিল না। মেডিক্যাল রিপোর্টও ঠিক ছিল। হতে পারে বিরল কোনও ব্যাপার। সত্যিই জানি না, কী হয়েছিল আমার। ’’
হেলসিঙ্কির একটি হাসপাতালে ১৪ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন কুক্কোনেন। তিনি বলেছেন, ‘‘হাসপাতালে আমার নানা পরীক্ষা করা হয়। চিকিৎসকেরা কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি। পেসমেকার বসিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। কিছু ওষুধ খেতে হচ্ছে। এখন বাড়িতে বিশ্রামে রয়েছি। আপাতত কোনও সমস্যা নেই।’’ সম্পূর্ণ সুস্থ হতে তিন মাস মতো সময় লাগবে ফিনিশ ফুটবলারের। কুক্কোনেন বলেছেন, ‘‘কী হয়েছিল, কেন হয়েছিল বলা কঠিন। তবে বন্ধুরা এবং পরিবারের সকলকে পাশে পেয়েছি। বান্ধবীও পাশে ছিল। আমার চারটে কুকুর রয়েছে। আমাকে দ্রুত মাঠে ফিরতে ওরাই সবচেয়ে বেশি সাহায্য করবে।’’
ফুটবল খেলার পাশাপাশি ১৩ বছর বয়স থেকে কোচিং করাতে শুরু করেন কুক্কোনেন। ১৮ বছর বয়স হওয়ার পর পেশাদার কোচ হিসাবে কাজ করতে শুরু করেন। আপাতত মাঠে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা ফুটবলার।