ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ছবি: রয়টার্স।
দেশের হয়ে খেলতে নেমে প্রথম বার লাল কার্ড দেখলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। আয়ারল্যান্ডের কাছে পর্তুগালও হেরে গেল ০-২ গোলে। এখনও ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেননি রোনাল্ডোরা। এই পরিস্থিতিতে তাঁর লাল কার্ড সমস্যায় ফেলতে পারে পর্তুগিজদের।
ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে ড্র করলেই বিশ্বকাপের ছাড়পত্র পেয়ে যেত পর্তুগাল। এখন রোনাল্ডোদের তাকিয়ে থাকতে হবে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের দিকে। সেই ম্যাচে আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে এক পয়েন্ট পেলেই ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের টিকিট পেয়ে যাবে পর্তুগাল। কিন্তু রোনাল্ডো লাল কার্ড দেখায় সেই ম্যাচে তাঁকে পাবে না পর্তুগাল। কিন্তু আর্মেনিয়ার কাছে হেরে গেলে বিপদে পড়তে হতে পারে পর্তুগালকে। পর্তুগাল জিতলে গ্রুপ ‘এফ’-এ দ্বিতীয় স্থানের জন্য লড়বে হাঙ্গেরি এবং আয়ারল্যান্ড। এখনও পর্যন্ত ৫টি ম্যাচ খেলে ৩টিতে জয় পেয়েছেন রোনাল্ডোরা। ১টি করে ম্যাচ তাঁরা ড্র করেছেন এবং হেরেছেন। তবে ১০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে রয়েছে পর্তুগাল। সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে হাঙ্গেরি এবং ৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আয়ারল্যান্ড। ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে সকলের শেষে রয়েছে আর্মেনিয়া।
পর্তুগাল বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার ছাড়পত্র যদি পায়, প্রথম দু’টি ম্যাচে সম্ভবত খেলতে পারবেন না সিআর সেভেন। আয়ারল্যান্ড ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় তিনি নিলম্বিত (সাসপেন্ড) থাকতে পারেন। সে ক্ষেত্রে বিশ্বকাপের মূলপর্বে পর্তুগালকে শুরু করতে হবে অধিনায়ককে ছাড়াই।
বৃহস্পতিবার আয়ারল্যান্ডের হয়ে জোড়া গোল করেন ট্রয় প্যারট। ১৭ এবং ৪৫ মিনিটে গোল করেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে ০-২ ব্যবধানে খেলতে নামা পর্তুগাল আক্রমণের তীব্রতা বাড়িয়েও গোল করতে পারেনি। ম্যাচের ৬১ মিনিটে আইরিশ ডিফেন্ডার দারা ও’শেয়ারকে কনুই দিয়ে পিঠে মারায় প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন রোনাল্ডো। এর পর ‘ভার’ দেখে সিদ্ধান্ত বদল করেন রেফারি। রোনাল্ডোকে লাল কার্ড দেখান। সে সময় ০-২ গোলে পিছিয়ে ছিল রোনাল্ডোরা। ১০ জনের পর্তুগাল আর গোল দিতে পারেনি।
দেশের হয়ে ২২ বছরে ২২৬তম ম্যাচে প্রথম বার লাল কার্ড দেখলেন রোনাল্ডো। পেশাদার ফুটবলজীবনে এই নিয়ে ১৩ বার লাল কার্ড দেখলেন তিনি। আগের ১২ বারই ক্লাবের হয়ে খেলতে নেমে লাল কার্ড দেখেছিলেন।
রোনাল্ডো ক’টি ম্যাচ নিলম্বিত হতে পারেন, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী কনুই দিয়ে মারা, ঘুষি, লাথি বা এ ধরনের আঘাতকে আক্রমণাত্মক ও হিংসাত্মক আচরণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, এমন অপরাধের ক্ষেত্রে কমপক্ষে তিন ম্যাচ নিলম্বিত হবেন সংশ্লিষ্ট ফুটবলার। রোনাল্ডো তিন ম্যাচের জন্য নিলম্বিত হলে বিশ্বকাপের মূলপর্বেও প্রথম দু’টি ম্যাচে খেলতে পারবেন না। তাঁর ভাগ্য নির্ধারণ করবে ফিফার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি।
এই ম্যাচের আগেই রোনাল্ডো অভিযোগ করেছিলেন, আয়ারল্যান্ড কোচ হেইমির হলগ্রিমসন রেফারিদের চাপে রাখার চেষ্টা করছেন। তাঁকে দেখে ম্যাচ অফিসিয়ালেরা যাতে প্রভাবিত না হন, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন তিনি। লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার সময়ও আইরিশ কোচের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন রোনাল্ডো।