India Football Team

নেপালকে চূর্ণ করে সাফ সেরা ভারত

এ বারের প্রতিযোগিতায় ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে ভারতকে ৩-১ গোলে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল নেপাল। এর পরে কেউ কেউ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন ববি সিংহদের ফাইনালে ওঠার ব্যাপারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:৪৪
Share:

নেপাল কে হারিয়ে জয় ভারতের। ছবি সংগৃহীত।

অনূর্ধ্ব-১৭ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ

Advertisement

ভারত ৪ নেপাল ০

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবলে ভারতের একাধিপত্য অব্যাহত। বুধবার কলম্বোয় ফাইনালে নেপালকে ৪-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন অনূর্ধ্ব-১৭ ভারতীয় দল।

Advertisement

এ বারের প্রতিযোগিতায় ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে ভারতকে ৩-১ গোলে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল নেপাল। এর পরে কেউ কেউ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন ববি সিংহদের ফাইনালে ওঠার ব্যাপারে। সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে ২-১ গোলে হারিয়েই দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটায় ভারতীয় দল।বুধবার ফাইনালে নেপালকে কার্যত দাঁড়াতেই দেননি ভানলালপেকা গুইতেরা। শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তোলেন তাঁরা।ম্যাচের ১৮ মিনিটে ভানলালপেকার সেন্টারেই মাথা ছুঁইয়ে ভারতকে ১-০ এগিয়ে দেন ববি। ৩০ মিনিটে ২-০ করেন কোরোউ সিংহ। তাঁকেও গোলের পাস দিয়েছিলেন অধিনায়ক ভানলালপেকা। এই ধাক্কা সামলানোর আগেই ফের বিপর্যয় নেমে আসে নেপাল শিবিরে।

ভারতের ড্যানি লাইস্রামকে কনুই দিয়ে আঘাত করে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক প্রশান্ত লাকসাম। যদিও দশ জন হয়ে যাওয়া নেপালের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে আর গোলের সংখ্যা বাড়াতে পারেননি ভারতীয় দলের ফুটবলাররা। ৬৩ মিনিটে অসাধারণ হেডে ৩-০ করেন ভানলালপেকা। অনূর্ধ্ব-১৭ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেরা ফুটবলারের পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধের সংযুক্ত সময়ে (৯০+৪ মিনিট) ভারতের হয়ে ৪-০ করেন পরিবর্ত হিসেবে নামা আমন। প্রতিযোগিতার সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার পেয়েছেন ভারতেরই সাহিল।

অনূর্ধ্ব-১৭ সাফ চ্যাম্পিয়ন জিতে উচ্ছ্বসিত ভারতীয় দলের কোচ বিবিয়ানো ফার্নান্দেস বলেছেন, ‘‘যুব ফুটবলের উন্নতিতে সাইয়ের সঙ্গে যৌথ ভাবে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের উদ্যোগের ফলেই ছেলেরা পরিণত হয়ে উঠছে।’’ এ দিকে, এ দিন ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে কথা বলেছেন আইএসএল আয়োজক কমিটির সদস্যদের সঙ্গে।

বাংলার কোচ বিশ্বজিৎ: আসন্ন জাতীয় গেমসে বাংলা ফুটবল দলের কোচ নির্বাচিত হলেন বিশ্বজিৎ ভট্টচার্য। বুধবার আইএফএ-র কোচেস কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ দিনের বৈঠকে গৌতম ঘোষ ও হেমন্ত ডোরার নাম নিয়েও আলোচনা হয়। রঞ্জন ভট্টাচার্য ‘এ’ লাইসেন্স করতে ব্যস্ত থাকায় শেষ পর্যন্ত বিশ্বজিতের উপরেই আস্থা রাখল বাংলার ফুটবল নিয়ামক সংস্থা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন