ফাইনালে কোন পথে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন ১০ জনের মোহনবাগান
১৯ বছর পর ডুরান্ড কাপের ফাইনালে মুখোমুখি মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল। প্রথম থেকেই আক্রমণ প্রতি-আক্রমণের খেলা চলছে। দ্বিতীয়ার্ধে কার্ড দেখলেন বাগানের অনিরুদ্ধ থাপা। ১০ জনে হয়ে গেল তারা।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
গোল করার পরে পেত্রাতোসের উল্লাস। ছবি: টুইটার
মূল ঘটনা
সহজ সুযোগ নষ্ট নন্দকুমারের
সমতা ফেরানোর সহজ সুযোগ নষ্ট করলেন নন্দকুমার। মহেশের ক্রসে বক্সের ভিতরে ফাঁকা জায়গা থেকে হেড দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। সরাসরি বিশালের হাতে মারেন নন্দ।
এগিয়ে গেল মোহনবাগান
ডুরান্ড ফাইনালে এগিয়ে গেল ১০ জনের মোহনবাগান। প্রতি-আক্রমণ থেকে বল ধরে অনেকটা দৌড়ে বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের শটে দ্বিতীয় পোস্ট দিয়ে গোল করেন দিমিত্রি পেত্রাতোস।
ভাল সেভ বিশালের
মোহনবাগান ১০ জনে হয়ে যাওয়ায় চাপ বাড়াচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। বক্সের বাইরে থেকে ক্লেইটন সিলভার ডান পায়ের শট ঝাঁপিয়ে বাঁচালেন বাগান গোলরক্ষক বিশাল কাইথ।
লাল কার্ড দেখলেন অনিরুদ্ধ থাপা
খেলার ৬০ মিনিটের মাথায় সিভেরিয়োকে বাজে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেন অনিরুদ্ধ থাপা। ৩০ মিনিটের বেশি ১০ জনে খেলতে হবে মোহনবাগানকে।
কার্ড দেখলেন ইস্টবেঙ্গলের কোচ
সাইডলাইনে দাঁড়িয়ে হলুদ কার্ড দেখলেন ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আক্রমণ ইস্টবেঙ্গলের
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণ বাড়াচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। বার বার বাগান বক্সে উঠে আসছেন নন্দকুমারেরা। চাপ বাড়ছে বাগান রক্ষণে। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারেনি লাল-হলুদ।
পেত্রাতোসের শট একটুর জন্য বাইরে
প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে পেত্রাতোসের ডান পায়ের শট একটুর জন্য বাইরে বেরিয়ে যায়। গোলে থাকলে সমস্যায় পড়ত লাল-হলুদ।
উত্তপ্ত পরিস্থিতি মাঠে
প্রথমার্ধের শেষ দিকে মাঠে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। হুগো বুমোস ও সাউল ক্রেসপোর মধ্যে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন বাকি ফুটবলারেরাও। তিনটি হলুদ কার্ড দেখিয়ে পরিস্থিতি সামলানে রেফারি রাহুল গুপ্তা।
প্রথম গোলমুখী শট
৪৩ মিনিটের মাথায় এল প্রথম গোলমুখী শট। টপ বক্স থেকে মোহনবাগানের গোল লক্ষ্য করে জোরালো শট মারেন নন্দকুমার। তাঁর বাঁ পায়ের শট গোল উঁচিয়ে বেরিয়ে যায়।
আক্রমণে ফিরছে ইস্টবেঙ্গলও
প্রাথমিক চাপ সামলে আক্রমণে উঠছে লাল-হলুদও। দুই প্রান্তে নন্দকুমার ও মহেশ ভাল খেলছেন। দু’এক বার বাগান বক্সে ঢুকে পড়েও গোল করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল।
মোহনবাগানের বেশি আক্রমণ
১০ মিনিটের পরে আক্রমণ বেশি বাগানের। দুই প্রান্ত ধরে আক্রমণে উঠছে সবুজ-মেরুন। চাপে পড়ছে লাল-হলুদ রক্ষণ। কিন্তু গোলের মুখ এখনও খুলতে পারেনি মোহনবাগান।
চাপ বাড়াচ্ছে দু’দলই
খেলার শুরু থেকে দু’দলই চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করছে। নিজেদের মধ্যে পাস খেলে প্রান্ত ধরে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা দুই প্রধানের। যদিও এখনও গোলের মুখ খুলতে পারেনি তারা।
শুরু ডার্বি
শুরু হয়ে গেল খেলা। দু’দলেরই লক্ষ্য শুরুতে বলের দখল নিজেদের কাছে নেওয়া। দুই স্প্যানিশ কোচের মগজাস্ত্রের লড়াই চলছে।
অতিথির আসনে রাজ্যপাল
ডুরান্ড ফাইনালে অতিথি হিসাবে এসেছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আছেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। খেলার আগে যুবভারতীর উপর দিয়ে ভারতীয় পতাকা নিয়ে উড়ল হেলিকপ্টার। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্টেরা বাইক নিয়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করেন।
ইস্টবেঙ্গলের প্রথম একাদশ
প্রভসুখন গিল (গোলরক্ষক), মহম্মদ রাকিপ, লাল চুংনুঙ্গা, মন্দার রাও দেশাই, জর্ডন এলসে, সাউল ক্রেসপো, বোরহা হেরেরা, হরমনজ্যোৎ সিংহ খাবরা, নাওরেম মহেশ, জেভিয়ার সিভেরিয়ো, নন্দকুমার।
মোহনবাগানের প্রথম একাদশ
বিশাল কাইথ (গোলরক্ষক), আনোয়ার আলি, হেক্টর ইউস্তে, শুভাশিস বসু (অধিনায়ক), আশিস রাই, অনিরুদ্ধ থাপা, সাহাল আব্দুল সামাদ, আশিক কুরুনিয়ান, দিমিত্রি পেত্রাতোস, হুগো বুমোস এবং আর্মান্দো সাদিকু।