গোল করলেন দিয়ামানতাকোস। — ফাইল চিত্র।
২০২৪-এর সুপার কাপের পর আবার কলকাতা ডার্বি জিতল ইস্টবেঙ্গল। অস্কার ব্রুজ়োর অধীনে প্রথম বার। দিয়ামানতাকোসের জোড়া গোলে বাজিমাত ইস্টবেঙ্গলের।
অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে ইস্টবেঙ্গল। তাদের সেই আক্রমণ আর দেখা যাচ্ছে না। তার সুযোগ নিচ্ছে মোহনবাগান।
মোহনবাগানের টানা আক্রমণে বিপর্যস্ত ইস্টবেঙ্গল। খেলা ধীরগতি করে দেওয়ার ফল টের পাচ্ছে তারা। এক গোল শোধ দিয়ে মরিয়া হয়ে উঠেছে মোহনবাগান। সমতা ফেরাতে চাইছে তারা।
এক গোল শোধ করে দিল মোহনবাগান। বক্সের বাইরে থেকে শট নিয়েছিলেন অনিরুদ্ধ থাপা। জটলার মাঝ থেকে বল ঢুকে গেল গোল। তার ঠিক আগেই লিস্টনের একটা ফ্রিকিক বারে লাগে।
দুটো গোল পাওয়ার পর আক্রমণের ঝাঁজ কিছুটা কমেছে ইস্টবেঙ্গল। তারা পিছন থেকে খেলা শুরু করছে। অন্য দিকে মোহনবাগান সুযোগ তৈরি করলেও শেষ করতে পারছে না। কামিংস নেমেও এখনও বলার মতো কিছু করতে পারেননি।
দারুণ মুভমেন্টে গোল করল ইস্টবেঙ্গল। দলগত খেলায় বাজিমাত লাল-হলুদের। মহেশের পাস থেকে বক্সের মধ্যে বল পেয়ে বাঁ পায়ে শট মেরেছিলেন দিয়ামানতাকোস। মোহনবাগানের আলবের্তোর গায়ে লেগে বল গোলে ঢুকে গেল। জার্সি খুলে উৎসব করার কারণে হলুদ কার্ড দেখলেন দিয়ামানতাকোস।
হঠাৎই আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়ে দিয়েছে মোহনবাগান। বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে শট নিয়েছিলেন আপুইয়া। পোস্টের বাইরে দিয়ে বল বেরিয়ে গেল বল।
কলকাতা ডার্বিতে এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। পেনাল্টি থেকে গোল করলেন দিয়ামানতাকোস। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়েছিলেন বিশাল। তবে বল আটকাতে পারেননি।
পিছন থেকে বিপিনকে ফাউল করলেন আশিস। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দিলেন।
বক্সের মধ্যে এডমুন্ডকে ফেলে দিয়েছিলেন অভিষেক। কিন্তু রেফারি পেনাল্টি দিলেন না। রিপ্লে-তে দেখা গেল পেনাল্টি ছিলও না। ইস্টবেঙ্গলও আবেদন করেনি।
মোহনবাগানের জালে বল জড়ালেও অফসাইডের কারণে দিয়ামানতাকোসের গোল বাতিল হয়ে গেল।
ফাউলের সঙ্গে সঙ্গে ফ্রিকিক নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। গোলও হয়ে গিয়েছিল। তবে রেফারি বেঙ্কটেশ সেই গোল দিলেন না। আবার ফ্রিকিক নিতে বললেন। ফ্রিকিক থেকে বল অনেক উপরে উড়িয়ে দিলেন মিগুয়েল।
অলড্রেডের থেকে বল কেড়ে নিলেন মহেশ। তাঁকে আটকাতে গিয়ে বক্সের একেবারে সামনে ফাউল করলেন অলড্রেড। ফ্রিকিক পেল ইস্টবেঙ্গল।
দুই দলই গোলমুখ খোলার চেষ্টা করছে। এখনও কেউ সফল হয়নি। মোহনবাগানের বল রিসিভ করার ক্ষেত্রে দুর্বলতা চোখে পড়ছে। ইস্টবেঙ্গলের সমস্যা ধারাবাহিক পাসিংয়ে। লড়াই হচ্ছে বিপিন এবং আশিসের।
ম্যাচের প্রথম কোয়ার্টারেই ধাক্কা খেল ইস্টবেঙ্গল। চোট পেয়ে মাঠে বসে পড়লেন হামিদ। নামছেন দিয়ামানতাকোস। বাধ্য হয়ে এই বদল করতে হল ইস্টবেঙ্গলকে।
ম্যাচের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত দাপট ইস্টবেঙ্গলের। মোহনবাগানের অর্ধে একাধিক বার হানা দিয়েছে তারা। গোল এখনও আসেনি। বক্সের বাইরে থেকে মিগুয়েলের শট কাজে লাগাতে পারলেন না হামিদ।
তৃতীয় মিনিটে প্রথম আক্রমণ ইস্টবেঙ্গলের। গোলে শট নিলেন এডমুন্ড। বাঁচালেন বিশাল।