হোসে মোলিনা। — ফাইল চিত্র।
ডুরান্ড কাপে ছন্দেই রয়েছে মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গলের মতোই গ্রুপ পর্বে ১২টা গোল করেছে তারা। তিনটে ম্যাচেই জিতেছে। তাই রবিবার কোয়ার্টার ফাইনালে কলকাতা ডার্বিতে দুই দলকে খুব একটা আলাদা করা যাবে না বলেই মানছেন মোহনবাগানের কোচ হোসে মোলিনা। সে যতই মহম্মদ রশিদ দেশে ফিরে যান না কেন।
শনিবার মোহনবাগান তাঁবুতে সাংবাদিক বৈঠকে মোলিনাকে পাওয়া গেল নিজস্ব মেজাজেই। প্রতিপক্ষকে সমীহ করলেন। তেমনই নিজেদেরও পিছিয়ে রাখলেন না। জানালেন, জেতার জন্য যা দরকার সবই করবেন। প্রস্তুতি কম হলেও তা বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন না মোলিনা।
স্পেনীয় কোচের কথায়, “ওদের সঙ্গে আমাদের বিশেষ পার্থক্য নেই। ওরা আমাদের থেকে সাত-আট দিন বেশি অনুশীলন করেছে। সেটা অল্প হলেও সুবিধা দিতে পারে। তবে বিরাট পার্থক্য হবে না তাতে। দুটো দলই ডুরান্ড জিততে চাইছে। এটাও ঠিক, দুটো দলই পুরোপুরি ফিট নয়। আপনারা এখনই সেরা মোহনবাগান বা সেরা ইস্টবেঙ্গলকে দেখতে পাবেন না। এটা সম্ভব নয়। দুটো দলই প্রাক-মরসুমে রয়েছে। অবশ্যই আমরা নিজেদের সেরাটা দেব। কিন্তু সবচেয়ে ভাল ফর্মে দেখা এখনই সম্ভব নয়।”
তিনটে ম্যাচ জিতলেও দলে যে এখনও দুর্বলতা রয়েছে সেটাও স্বীকার করেছেন মোলিনা। তাঁর কথায়, “অবশ্যই দুর্বলতা রয়েছে। আমরা চাই না সবাই আমাদের বাড়তি গুরুত্ব দিক। আমরা মোটেই যন্ত্র নই। কোচ, সাপোর্ট স্টাফ, খেলোয়াড় সবাই মানুষ। দুর্বলতা থাকবেই। তবে আমাদের শক্তিও রয়েছে, যেটা আমরা ম্যাচে দেখাব। ভাল কোচ সে-ই যে দুর্বলতা ঢেকে রেখে শক্তিগুলো বার করে আনতে পারে।”
মোলিনা জানিয়েছেন, ডার্বিতে খেলার জন্য সুহেল ভাট এবং টম অলড্রেড তৈরি। শুভাশিস বসু, মনবীর সিংহ এবং কিয়ান নাসিরিকে পাওয়া যাবে না।
ইস্টবেঙ্গল পাবে না রশিদকে। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে দেশে ফিরে গিয়েছেন তিনি। মোহনবাগানের বাড়তি সুবিধা হল কি না এই প্রশ্ন করতেই কিছুটা উত্তেজিত মোহনবাগান কোচ। বললেন, “তাতে কী হয়েছে? ইস্টবেঙ্গলের হাতে কি আর ফুটবলার নেই? ওদের হাতে পাঁচটা বিদেশি রয়েছে। আমাদের হাতেও তাই। তা হলে বাড়তি সুবিধা কিসের?”
ইস্টবেঙ্গল যে গত বারের চেয়ে এ বার ভাল খেলবে এ ব্যাপারে আশাবাদী মোলিনা। কেন গত মরসুমে ইস্টবেঙ্গল প্রত্যাশিত সাফল্য পায়নি সেটাও বুঝতে পারছেন না তিনি। মোলিনা বলেছেন, “এ বার ওদের হাতে ভাল ফুটবলার, ভাল কোচ রয়েছে। গত বারও মরসুমের শুরুতে ওদের হাতে ভাল কোচ, ভাল ফুটবলার ছিল। তার পরেও মরসুমটা ভাল যায়নি। কেন সেটা জানি না। এ বারও ওদের দলটা খুব ভাল হয়েছে। ভারতের অন্যতম সেরা দল ওরা। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে খেলা সব সময়েই কঠিন। তাই জন্যই ডার্বি এত উত্তেজক হয়।”