East Bengal vs Mohun Bagan

আইএফএ শিল্ড জিতে মোহনবাগান ফুটবলারদের মুখে শুধুই সমর্থকদের কথা, পেত্রাতোসের মুখে ১৯১১-র ইতিহাস

শনিবার আইএফএ শিল্ড ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে হারিয়ে ট্রফি জিতে নিয়েছে মোহনবাগান। ম্যাচের পর প্রায় সব ফুটবলারই জয় উৎসর্গ করেছেন সমর্থকদের।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৫ ২২:৫৬
Share:

মোহনবাগানের সমর্থকেরা। ছবি: সমাজমাধ্যম।

চলতি মরসুমে দু’টি ডার্বিতে হারলেও আসল জায়গায় জিতেছে মোহনবাগান। শনিবার আইএফএ শিল্ড ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে হারিয়ে ট্রফি জিতে নিয়েছে তারা। ম্যাচের পর মোহনবাগানের প্রায় সব ফুটবলারই জয় উৎসর্গ করেছেন সমর্থকদের। আপুইয়া থেকে বিশাল কাইথ, দিমিত্রি পেত্রাতোস থেকে জেসন কামিংস, সকলের মুখেই সমর্থকদের কথা। পেত্রাতোস জানিয়েছেন, ১৯১১ শিল্ড জয়ের কথা তিনি জানেন।

Advertisement

মোহনবাগান যাঁর গোলে সমতা ফিরিয়েছিল, সেই আপুইয়া বলেছেন, “এই জয় সমর্থকদের জন্য। বিশেষ করে ফুটবলারদের জন্য। এই প্রথম বার আইএফএ শিল্ডে খেললাম। এই ট্রফিটা ছোট না বড় সেটা ভাবতেই চাই না। জিতেছি এটাই সবচেয়ে বড় কথা।” তিনি আরও বলেন, “প্রথমে বুঝতে পারিনি গোল করেছি। বল পোস্টে লেগে বেরিয়ে এসেছিল। তার পর লাইন্সম্যানের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলাম গোল হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত দল যে জিতেছে এতেই আমি খুশি। দলই সবার আগে।”

টাইব্রেকারে জয় গুপ্তের শট আটকেছেন বিশাল। তিনি বলেন, “অনেকে এসেছিলেন আমাদের সমর্থন করতে। ওদের জন্যই জিততে পেরেছি।” টাইব্রেকারে একটুও চাপে ছিলেন না বলে জানিয়েছেন বিশাল। তাঁর মতে, সেভ করে সতীর্থদের সুবিধা করে দেওয়াই তাঁর কাজ। বিশালের কথায়, “মাথার মধ্যে এটাই চলে, যে করে হোক একটা-দুটো শট আটকাতেই হবে। তা হলে দল সুবিধায় থাকবে। আজ একটা শট আটকানোর পর দলেরই সুবিধা হয়েছিল। আমরা রোজই পেনাল্টি অনুশীলন করি। তাই অভ্যেস রয়েছে এ ধরনের পরিস্থিতির।”

Advertisement

সমর্থকদের চোখে এখনও যিনি চক্ষুশূল, সেই পেত্রাতোসের মুখেও গ্যালারির কথা। অস্ট্রেলীয় ফুটবলার বলেন, “সমর্থকদের জন্য একটা কথাই বলছি, আপনারা আমাদের দ্বাদশ ব্যক্তি। আপনাদের জন্যই জিততে পেরেছি। কিছু কিছু জিনিস জীবনে ঘটে যায়। সেটাকে পেরিয়ে এগিয়ে যেতে হয়। এখন আমরা খুব খুশি। সামনে অনেক ম্যাচ খেলতে হবে।”

সতীর্থ জেসন কামিংসের পেনাল্টি নষ্ট নিয়েও ভাবতে চান না তিনি। বলেছেন, “ফুটবলে এ রকম হতেই পারে। কামিংস খুব ভাল খেলেছে। ওর অভিজ্ঞতা অনেক। বিশ্বের যে কোনও ফুটবলারের সঙ্গেই এটা হতে পারে। ও নিজের কাজটা করে গিয়েছে।”

পাশাপাশি পেত্রাতোস এটাও জানিয়েছেন, ১৯১১ সালে খালি পায়ে ইস্ট ইয়র্কশায়ারকে হারিয়ে মোহনবাগানের প্রথম বার শিল্ড জয়ের ঘটনাটি তিনি জানেন। পেত্রাতোসের কথায়, “সেই শিল্ড জয়ের কথা অনেকের মুখেই শুনেছি। এখন সেই ইতিহাসের অংশ হতে পেরে ভাল লাগছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement