pele

হাসপাতালে বাবার সঙ্গেই পেলে-কন্যা

সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেওয়া একটি পোস্টে কেলি জানিয়েছিলেন, বাবার ভক্তরা যে ভাবে এই কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়াচ্ছেন, সেটা তাঁদের কাছেও এক বিরাট প্রাপ্তি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ ০৯:৪৫
Share:

বন্ধন: হাসপাতালে পেলের বুকে মাথা রেখে মেয়ে কেলি। ইনস্টাগ্রাম

মারণ রোগ ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে চলা ফুটবল সম্রাট পেলেকে নিয়ে গণমাধ্যমে আবেগঘন পোস্ট করলেন তাঁর কন্যা কেলি নাসিমেন্টো। ৮২ বছর বয়সি পেলে ২০২১ সাল থেকে অন্ত্রের ক্যানসারে আক্রান্ত। কাতার বিশ্বকাপেরর সময় ২৯ নভেম্বর তাঁকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

Advertisement

বাবার সঙ্গে ছবি পোস্ট করে পেলের কন্যা লিখেছেন, ‘‘আমরা লড়াই করে যাচ্ছি, বিশ্বাস রাখছি। আরও একটা রাত বাবার কাছে কাটালাম।’’ ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বিছানায় থাকা অসুস্থ বাবাকে জড়িয়ে ধরেছেন কেলি। পেলের নাতনি সোফিয়াও সেখানে আছেন।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেওয়া একটি পোস্টে কেলি জানিয়েছিলেন, বাবার ভক্তরা যে ভাবে এই কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়াচ্ছেন, সেটা তাঁদের কাছেও এক বিরাট প্রাপ্তি। তিনি লিখেছিলেন, ‘‘আপনাদের ভালবাসা, আপনাদের বলা গল্প এবং প্রার্থনা আমাদের কাছে বড় পাওয়া। কারণ আমরা এর ফলে বুঝতে পারি যে, এই লড়াইয়ে আমরা একা নই।’’ হাসপাতাল সূত্রে চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে পেলের শারীরিক অবস্থা নিয়ে জানানো হয়েছিল, তাঁর হৃদযন্ত্র এবং মূত্রনালী সংক্রান্ত সমস্যা এখনও রয়েছে। হাসপাতাল থেকেই অবশ্য পেলে বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ম্যাচ দেখেন। শুধু তাই নয়, আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জেতার পরে তিনি গণমাধ্যমে অভিনন্দনও জানান লিয়োনেল মেসিকে। ফাইনালে হ্যাটট্রিকের মালিক, ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপেকেও শুভেচ্ছা জানান।

Advertisement

১৭ বছর বয়েসে আন্তর্জাতিক ফুটবলে আবির্ভাবেই সারা বিশ্বের নজর কেড়ে নেন পেলে। ১৯৫৮ সালে ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জিততে সাহায্য করেন। এর পরে ১৯৬২ এবং ১৯৭০ সালেও তিনি বিশ্বকাপ এনে দেন ব্রাজিলকে। মরণাপন্ন রোগীদের জন্য বিশেষ বিভাগে পেলেকে রাখা হয়েছে বলে গত মাসে জানিয়েছিল একটি সংবাদপত্র। তা অস্বীকার করেন কেলি। তিনি বলেছিলেন, ‘‘তিন সপ্তাহ আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল বাবা। সব টিকাই দেওয়া হয়েছে ওঁকে। কিন্তু ক্যানসারের ওষুধ নেওয়া এবং কেমোথেরাপির জন্য ফুসফুসে সংক্রমণ হয় বাবার। এই কারণেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’’

পেলের আর এক কন্যা ফ্লাভিয়া জানিয়েছিলেন, এই মুহূর্তে হাসপাতালই পেলের জন্য সবচেয়ে ভাল জায়গা। ‘‘হাসপাতালে বাবার যে কোনও প্রয়োজনে নজর রাখা যাবে। তাই এখানেই বাবাকে রাখা হয়েছে,’’ বলেছিলেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন