Durand Cup

লাল-হলুদের বিষাদের দিনে যুবভারতীর মাঠে লাল আর হলুদে কার্ডের রমরমা

ডুরান্ড ফাইনালে মাঠে দেখা গেল অন্য লাল-হলুদের দাপট। কড়া হাতে খেলা পরিচালনা করলেন রেফারি রাহুল গুপ্তা। ম্যাচ নিজের হাতে রাখতে বেশ কয়েকটি কার্ড দেখালেন তিনি। তার মধ্যে রয়েছে দু’টি লাল কার্ড।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:১৭
Share:

মাঠে টক্কর দু’দলের ফুটবলারদের। ছবি: টুইটার

ডুরান্ডের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে ১-০ গোলে হারিয়েছেন মোহনবাগান। এই নিয়ে ১৭ বার ডুরান্ড কাপ জিতল তারা। বিষন্ন মনেই যুবভারতী ছাড়তে হল লাল-হলুদ সমর্থকদের। তবে মাঠে লাল-হলুদের রমরমা দেখা গিয়েছে। না, ফুটবলার বা সমর্থকদের নয়, লাল ও হলুদ কার্ডের। গ্যালারিতে সবুজ-মেরুন সমর্থকেরা উল্লাস করলেও মাঠে দাপট দেখাল লাল ও হলুদ কার্ড।

Advertisement

ডুরান্ডের গ্রুপের ম্যাচে সমালোচনা হয়েছিল রেফারিং নিয়ে। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা। সেই কারণে ডুরান্ডের ফাইনালে ভারতের অন্যতম সেরা রেফারি রাহুল গুপ্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কড়া হাতে ম্যাচ পরিচালনা করলেন তিনি। ম্যাচ নিজের হাতে রাখতে বেশ কয়েকটি কার্ড দেখান রেফারি। তার মধ্যে রয়েছে দু’টি লাল কার্ড।

ম্যাচের প্রথমার্ধেই হলুদ কার্ড দেখেন মোহনবাগানের অনিরুদ্ধ থাপা। দ্বিতীয়ার্ধে ৬০ মিনিটের মাথায় ইস্টবেঙ্গলের জেভিয়ার সিভেরিয়োকে বাজে ফাউল করেন তিনি। সবুজ-মেরুন ফুটবলারেরা রেফারির কাছে মিনতি করছিলেন যে থাপাকে যেন লাল কার্ড দেখানো না হয়। কিন্তু রেফারি তা শোনেননি। তিনি থাপাকে লাল কার্ড দেখান। ১০ জন হয়ে যায় মোহনবাগান।

Advertisement

ইস্টবেঙ্গল শিবিরেও এক জন লাল কার্ড দেখেন। তবে তিনি কোনও ফুটবলার নন। লাল-হলুদের সহকারী কোচ ডিমাস ডেলগাডো। তিনি বেশ কয়েক বার রেফারির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। বার বার বেঞ্চ ছেড়ে সাইডলাইনে চলে আসছিলেন। ফলে রেফারি তাঁকে লাল কার্ড দেখান।

হলুদ কার্ড দেখেন মোহনবাগানের হুগো বুমোস। ইস্টবেঙ্গলের বোরহা হেরেরার সঙ্গে বাদানুবাগে জড়ান তিনি। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ দিকে এই ঘটনায় খেলায় ব্যাঘাত ঘটে। সেই কারণে হুগোকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। তবে বোরহাকেও কার্ড দেখতে হয়। রেফারির সঙ্গে বিবাদ করে হলুদ কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত ও আর এক সহকারী কোচ। বাগানের আশিস রাইকেও হলুদ কার্ড দেখান রেফারি।

তবে কার্ড দেখানোর ফলও পেয়েছেন রেফারি। গোটা ম্যাচে রেফারির কাছে আবেদন করলেও চড়াও হতে পারেননি ফুটবলারেরা। রেফারি নিজের সিদ্ধান্তে খেলা চালিয়েছেন। রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে খুব একটা প্রশ্নও ওঠেনি ডুরান্ড ফাইনালে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন