la liga

La Liga: দুঃস্বপ্ন কাটছে না বার্সার, করোনায় কাঁপছে রিয়ালও

জ়াভি বলেছেন, ‘‘বছরটা জয় দিয়ে শেষ করতে চেয়েছিলাম। সেই ইচ্ছা অপূর্ণ রইল। তবে দলের ফুটবলে আমি খুশি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২১ ০৮:২৪
Share:

লাল কার্ড দেখে সেভিয়ার জুলস কনডে। ছবি পিটিআই।

লা লিগা

Advertisement

সেভিয়া ১ বার্সেলোনা ১

Advertisement

ক্যাম্প ন্যু-তে চলছে দুঃস্বপ্নের পর্ব। উদ্বেগ জিইয়ে রেখেই ২০২১-এর শেষ ম্যাচ খেলল বার্সেলোনা। মঙ্গলবার ১০ জনের সেভিয়াকেও হারাতে পারল না নতুন ম্যানেজার জ়াভি হার্নান্দেসের দল। ফল ১-১।

সান্তিয়াগো বের্নাবাউয়ের ছবিও রীতিমতো আতঙ্কের। করোনা হানায় জর্জরিত রিয়াল মাদ্রিদ শিবির। নতুন করে আক্রান্তের তালিকায় নাম যুক্ত হয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ থেকে আগত ডেভিড আলাবা এবং ইস্কোর। বুধবার এক বিবৃতিতে ক্লাবের তরফে সেই খবর জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবারের ম্যাচ জিতলে বার্সেলোনা পয়েন্ট টেবলের চার নম্বরে উঠে আসত। পয়েন্ট নষ্ট করে রীতিমতো হতাশ ম্যানেজার জ়াভি। জানিয়ে দিলেন, ভাল খেলার পরেও তাঁর দল পয়েন্ট নষ্ট করায় তিনি রাতে ঘুমোতেও পারবেন না।

বৃষ্টিস্নাত ম্যাচে ৩২ মিনিটে ইভান রাকিতিচের কর্নার থেকে পাওয়া বল ধরে নিখুঁত প্লেসিংয়ে সেভিয়াকে এগিয়ে দেন আলেজান্দ্রো গোমেজ়। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই রোনাল্ড আরাউজোর হেডের সৌজন্যে ম্যাচে সমতা ফেরায় বার্সা। সেভিয়ার জুলিয়াস কউন্ডে ৬৪ মিনিটে জর্দি আলবার গায়ে বল ছুড়ে মেরে লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে যান। তবু প্রতিপক্ষ রক্ষণ ভেঙে গোল করতে পারেনি বার্সা। তরুণ তারকা গাভি একবার সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। আর একবার দেম্বেলের শট পোস্টে লাগে।

জ়াভি বলেছেন, ‘‘বছরটা জয় দিয়ে শেষ করতে চেয়েছিলাম। সেই ইচ্ছা অপূর্ণ রইল। তবে দলের ফুটবলে আমি খুশি। আশা করি, নতুন বছরে দলের খেলায় আরও উন্নতি হবে। দলে অনেক নতুন তারকা এসেছে, তাদেরও তৈরি থাকতে হবে নতুন বছরের শুরু থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য।’’

বার্সার পরের ম্যাচ ২ জানুয়ারি মায়োরকার বিরুদ্ধে। লা লিগা টেবলে জ়াভির দল রয়েছে সপ্তম স্থানে। ১৮ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট। প্রথম ও দ্বিতীয় রিয়াল মাদ্রিদ (১৮ ম্যাচে ৪৩) এবং সেভিয়া (১৮ ম্যাচে ৩৮)।

এ দিকে, ইস্কো এবং আলাবার নতু করে কোভিডে সংক্রমিত হওয়ার ঘটনায় তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। দলের ম্যানেজার কার্লো আনচেলোত্তি মেনে নিয়েছেন, করোনার আক্রমণে প্রথম একাদশ তৈরি করাই ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি বলেছেন, ‘‘দলের সেরা ফুটবলাররা করোনায় আক্রান্ত। তারই মধ্যে নিয়মিত ম্যাচ হচ্ছে। কী পদ্ধতিতে দলকে খেলানো দরকার, সেটাই এখন আমার কাছে স্পষ্ট নয়। এই অবস্থায় পয়েন্ট নষ্ট হলে লা লিগা খেতাবী দৌড় থেকে ছিটকে যেতে পারে দল। সেটাও আমাকে ভাবাচ্ছে। সবমিলিয়ে খুবই উদ্বেগ নিয়ে প্রত্যেকটি দিন কাটাতে হচ্ছে।’’

করোনার সংক্রমণ থেকে মুক্ত নয় প্যারিস সাঁ জারমাঁও. বুধবার ক্লাবের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই ফুটবলারের শরীরে উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে মারণ ভাইরাসের। ডিফেন্ডার থিলো কেরার এবং ২১ বছরের ফরাসি মিডফিল্ডার এরিক জুনিয়র দিনা এবিমবে। মঙ্গলবার তাঁদের করোনা পরীক্ষার ফল পজ়িটিভ এসেছে। কোভিড-বিধি মেনে এই দুই ফুটবলারকে কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংক্রমিত এই দুই ফুটবলারই ফরাসি কাপে খেলেছিলেন পিএসজির হয়ে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন