AIFF

ভারতীয় ফুটবল নিয়ে যাবতীয় সমস্যার দ্রুত সমাধান চায় সুপ্রিম কোর্ট

বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ অ্যামিকাস ক্যুরি গোপাল শঙ্করানারায়ণনকে নির্দেশ দিয়েছে, খসড়া সংবিধান নিয়ে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসতে এবং কোন কোন বিষয়ে বিরোধিতা রয়েছে, তা-ও শুনতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২০:৪২
Share:

ভারতীয় ফুটবল নিয়ে সমস্যা দ্রুত মেটাতে চাইছে সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল ছবি

ভারতীয় ফুটবলের সংবিধান নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কে দাঁড়ি টানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। খসড়া সংবিধান নিয়ে যে বিতর্ক রয়েছে, তা যত দ্রুত সম্ভব শেষ করতে চায় তারা। একই সঙ্গে, সব পক্ষকে নিয়ে বসে আলোচনা এবং তাদের মতামত শোনার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছে, “এ বার আমাদের একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে হবে। সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থাকে নিয়ে যা যা সমস্যা রয়েছে তা শেষ করতে হবে।” ওই বেঞ্চে বিচারপতি চন্দ্রচূড় ছাড়াও রয়েছেন বিচারপতি পিএস নরসিংহ এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা।

বৃহস্পতিবার ওই বেঞ্চ অ্যামিকাস ক্যুরি (আদালত-বান্ধব) গোপাল শঙ্করানারায়ণনকে নির্দেশ দিয়েছে, খসড়া সংবিধান নিয়ে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসতে এবং কোন কোন বিষয়ে বিরোধিতা রয়েছে, তা শুনতে। বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ বলেছে, “সাংবিধানিক বেঞ্চের শুনানি শেষ হলেই আমরা খসড়া সংবিধান নিয়ে শুনানির দিন ঘোষণা করব।” অ্যামিকাস ক্যুরি জানান, প্রত্যেক পক্ষেরই কোনও না কোনও বিরোধিতা রয়েছে।

Advertisement

বেঞ্চের তরফে অ্যামিকাস ক্যুরিকে প্রশ্ন করা হয়, এখন সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার (এআইএফএফ) প্রধান কে? তিনি তখন বাংলার প্রাক্তন গোলকিপার কল্যাণ চৌবের নাম করেন। পাশাপাশি এটাও বলেন, “আমরা জানি না কী ভাবে এই চৌবে সভাপতি হয়েছে। ২৪ জন খ্যাতনামী ফুটবলারের তালিকায় ভাইচুং ভুটিয়ার নাম ছিল। এই ব্যক্তি (কল্যাণ) সেখানে ছিলেন না। জানি না কী ভাবে তিনি সভাপতি হয়েছেন।” উল্লেখ্য, গত বছর ২ সেপ্টেম্বর সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন কল্যাণ।

এর আগে এই বেঞ্চই জানিয়েছিল, ভারতীয় ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে কোনও পদক্ষেপই নেওয়া হচ্ছে না। সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করা হয়েছিল খসড়া সংবিধানের বিষয়ে নিজেদের মতামত জানানোর জন্য। তার আগে গত বছর ৯ নভেম্বর অ্যামিকাস ক্যুরি শঙ্করানারায়ণনকে নির্দেশ দেওয়া হয় খসড়া সংবিধান নিয়ে যাবতীয় আপত্তি তালিকা আকারে নথিবদ্ধ করার জন্যে।

গত বছর ১৫ অগস্ট এআইএফএফ-কে নির্বাসিত করে ফিফা। তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলা হয়েছিল তাদের বিপক্ষে। এর পরেই তিন সদস্যের প্রশাসকদের কমিটি খারিজ করে নির্বাচনের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। গত সেপ্টেম্বরে সেই নির্বাচন হয়।

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় ফেডারেশন প্রধান কল্যাণের সঙ্গে। তবে তিনি ফোন ধরেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন